নারী কোটায় ২৯টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক,২০ জানুয়ারী:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে নারী কোটায় ভোলা জেলায় ২৯টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের চূড়ান্ত ফলাফলে নারী কোটায় ৬০ শতাংশ নিয়োগ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ চারজনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভোলার নিয়োগবঞ্চিত ২৯ নারীর দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এ এফ এম নাজমুল হাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও অ্যাডভোকেট সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, সরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ বিধিতে বলা হয়েছে- সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলির ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করতে হবে। চূড়ান্ত ফলাফলে ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়, ওই ফলাফলে নারী প্রার্থীদের তুলনায় পুরুষ প্রার্থীদের বেশি নির্বাচিত করা হয়, যা উক্ত বিধি লঙ্ঘন করেছে।

একইভাবে ভোলা জেলায় সর্বমোট ৩৪৪ প্রার্থীকে চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচিত করা হয়। তার মধ্যে ১২৭ জন নারী ও ২১৭ জন পুরুষ প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়েছে। অথচ ৬০ শতাংশ নারী কোটা সংরক্ষণের হিসাবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০৬ জন নারী প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার কথ
নিয়োগবঞ্চিত হওয়ায় ভোলা জেলার ২৯ প্রার্থী ৬০ শতাংশ নারী কোটায় নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে ওই রিট দায়ের করেন। রিটকারীদের মধ্যে রয়েছেন- ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আকলিমা বেগম, মারজানা ইয়াসমিন, সুমনা দেবনাথ পূজা, নাসরিন আক্তার, রোকেয়া বেগম, রাবেয়া বেগম, আকলিমা বেগম, খাদিজা বেগম লিমা ও আছিয়া আক্তার লিজা।


Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।