কুষ্টিয়া :আওয়ামী লীগ নেতাদের মতামত না নিয়ে স্বুল পরিচালনা পর্ষদের কমিটি জমা দেয়ায় এক প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক পিটিয়েছে আহত করেছে ইবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবলীগের ক্যাডাররা।
সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষক শামসুল আলম সদর উপজেলার হাসানবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মারপিটের পর তাকে স্কুলে অবরুদ্ধ করে রেখে আপোস করার জন্য চাপ দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এতে রাজি না হওয়ায় তার হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগে তার স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের নতুন কমিটি অনুমোদনের জন্য উপজেলায় জমা দেন। রোববার বিকালে শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান আতা মোবাইলে ফোন দিয়ে কমিটি গঠন করার সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের মতামত নেয়া হয়েছিল কি-না জানতে চান। আমি তাকে বলি মতামত নেয়া হয়নি। এ সময় তিনি আমাকে রাজাকর বলেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি ফোন কেটে দেন। সোমবার সকালে সাদ্দাম হোসেন, জিল্লুর রহমান, আনিসসহ আরও ৩ থেকে ৪জন আমার স্কুলে এসে হকিস্টিক দিয়ে পেটায়। তারা বলে, আতা ভাইয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিস কেন? এই বলে মারতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, একাত্তরে রাজাকর ও পাক আর্মিরা আমার দাদা ও নানাকে হত্যা করে। তাহলে আমি রাজাকার হলাম কিভাবে? স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কথামত কমিটি না করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে মেরেছে। আমি বিষয়টি থানার ওসি ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই আতিক বলেন, ঘটনা শুনে স্কুলে গিয়েছিলাম। ওসিসহ ন্থানীয় নেতারা প্রধান শিক্ষককে নিয়ে মিটিং করছিল। প্রধান শিক্ষককে অপমান করা হয়েছে। মারপিটের কথা জানি না।
ইসলামী ব্শ্বিবিদ্যালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, হাসানবাগ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলমকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে মারপিটের হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।