একদিনে চার পরীক্ষা, বিড়ম্বনায় চাকরিপ্রার্থীরা

বাংলানিউজ: Exam-bgবেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষাসহ একই দিনে চাকরির চার পরীক্ষা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কয়েক লাখ চাকরি প্রার্থী।

শুক্রবার (১২ মে) সকাল ১০টা, ১১টা, বিকেল ৪টায় যথাক্রমে শিক্ষক নিবন্ধনের কলেজ পর্যায় ও ডাক বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং স্কুল পর্যায়ের নিবন্ধন পরীক্ষা রয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গৃহিত শিক্ষক নিবন্ধনে ৬ লাখ এবং বাকি দু’টি পরীক্ষায় আরও প্রায় দুই লাখ প্রার্থী এই বিড়ম্বনার মুখোমুখি হচ্ছেন।

ত্রয়োদশ শিক্ষক নিবন্ধনের স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা গত ৬ মে হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৩ মে বিকেল ৪-৫টা পর্যন্ত নেওয়া হয়। আর কলেজ পর্যায়েল পরীক্ষা ৭ মে’র পরিবর্তে পিছিয়ে একই দিন ১৩ মে সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে পৃথক দু’দিন নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এবার একই দিনে দুই পরীক্ষা নিয়ে স্কুল-কলেজে চাকরিপ্রার্থীরাই বিপাকে পড়েছেন। বিভাগীয় ও বড় শহরগুলোতে এবার এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানান প্রার্থীরা।

এনটিআরসিএ’র সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) মো. হুমায়ূন কবীর  বলেন, স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায় এবং কলেজ পর্যায় মিলে মোট ৬ লাখ ২ হাজার ৩৩ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন।

পাশাপাশি শুক্রবার সকাল ১০টায় ডাক বিভাগের পরিদর্শক ৭১টি পদে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক পাস যোগ্যতাধারী লক্ষাধিক প্রার্থী রয়েছেন।

এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর ৭০টি পদে বেলা ১১টায় যে পরীক্ষা রয়েছে তারও যোগ্যতা স্নাতক পাস। এখানেও এক লাখের কাছাকাছি আবেদন পড়েছে।

ফলে, সকালের যেকোনো একটি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাকি দু’টি পরীক্ষা ছাড় দিতে হবে চাকরি প্রার্থীদের। স্কুল-কলেজে পদ সংখ্যা বেশি এবং ম্যানেজিং কমিটির থেকে পুরোপুরি এনটিআরসিএ’র অধীনে চলে যাওয়ায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। তাই নিবন্ধন পরীক্ষাকেই জোর দিচ্ছেন প্রার্থীরা।

এনটিআরসিএ’ সদস্য হুমায়ূন কবীর  বলেন, অন্য পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই, কেন্দ্রও ভিন্ন। ফলে, পরীক্ষা গ্রহণে কোনো সমস্যা নেই।
তবে, চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, বিভিন্ন নিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় হলে বেকার যুবকরা বিড়ম্বনায় পড়বেন না।

কলেজ নিবন্ধন ও ডাক বিভাগের পরিদর্শক পদে আবেদন করা গাইবান্ধার একজন প্রার্থী বলেন, কলেজ নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য ডাক বিভাগের পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে না।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।