স্টাফ রিপোর্টার | ২৮ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠন ও সাত কলেজের ঐতিহ্য নষ্টের অভিযোগে শিক্ষা সচিবসহ পাঁচজনকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসদার হোসেন, যিনি ‘বিচার বিভাগ পৃথককরণ’ মামলা-খ্যাত রাষ্ট্র বনাম মাসদার হোসেন মামলার আবেদনকারী ছিলেন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
রবিবার প্রেরিত এই নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের ঐতিহ্য নষ্ট ও ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ সংকুচিত করা সংবিধানবিরোধী। নোটিশে সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
🔹 যাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন—
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
🔹 নোটিশের পক্ষে আবেদনকারীরা
নোটিশটি পাঠানো হয়েছে ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই. কে. সেলিমউল্লাহ খোন্দকার,শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক অধ্যাপক মো. কফিল উদ্দীন,এবং জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা কলেজে কর্মরত অধ্যাপিকা নাসরিন বেগমের পক্ষ থেকে।
🔹 নোটিশের মূল বক্তব্য
নোটিশে বলা হয়,“সাত কলেজকে নিয়ে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠন হলে এই কলেজগুলোর স্বতন্ত্রতা ও ঐতিহ্য হারাবে। এতে নারী শিক্ষার সুযোগ সীমিত হবে এবং শিক্ষার মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
নোটিশে আরও বলা হয়, ঢাকায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়া, কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া এবং শিক্ষা ক্যাডারের পদ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর প্রকাশিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ অধ্যাদেশের খসড়ার পর থেকেই সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আপত্তি জানাচ্ছেন।
ঢাকা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সময়ের মতো এবারও শিক্ষা ক্যাডারের ১,০০০-এর বেশি শিডিউল পদ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
















