দেবাশিস দত্ত, মেলবোর্নে
এটা একটা মজার রসিকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঋষভ পন্থকে খেলানো হলে বলা হচ্ছে দীনেশ কার্তিক বাদ কেন। আবার, কার্তিককে সুযোগ দেওয়া হলে পাল্টা প্রশ্ন ধেয়ে আসছে, ঋষভ নয় কেন?
কোচ রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য বলছেন, ম্যাচের দিন যাকে যোগ্য মনে করা হবে তাঁকেই প্রথম এগারোয় রাখা হবে। এটা রাহুলের যুক্তি।
ভারতীয় দলের কোচকে, এ ব্যাপারে একেবারেই চিন্তিত মনে হল না। বললেন, ‘যাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তাঁকে যে পরের ম্যাচে খেলানো হবে না, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।’ এখান থেকেই অনেকে ইঙ্গিত পাচ্ছেন সেমিফাইনালে বোধহয় দীনেশ কার্তিককে আবার ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
তিনটে ম্যাচ কার্তিককে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আহামরি কিছু করেননি। রাহুল নিজেই বললেন, ‘এমন সময় দীনেশ ক্রিজে গিয়েছিল যে নিজের সুনামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।
যদি ঋষভকে পরের দিকে দরকার হয়, তাই জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ খেলিয়ে ম্যাচ–ফিট হিসেবে তৈরি রাখা হল। দীনেশকে দলে রাখার ব্যাপারে মূল কারণ ছিল কম বলে দ্রুত রান তুলতে পারার দক্ষতা।
ঋষভেরও এই যোগ্যতা রয়েছে। এই দু’জন উইকেটরক্ষক চলতি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেনি। কখনও বিরাট কোহলি, কখনও হার্দিক পান্ডিয়া, কখনও সূর্যকুমার যাদব ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে যাওয়ায় দীনেশ বা ঋষভের ব্যর্থতা চোখে পড়েনি। কিন্তু পড়তে কতক্ষণ?’ দু’দিন পর সেমিফাইনাল। হারলেই বিদায়। রোহিতদের সুখের সংসারে কিপার নিয়ে সুক্ষ্ম অস্বস্তিকর কাঁটা কিন্তু এখনও রয়েই গেছে।