নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা | ৮ অক্টোবর ২০২৫
দেশের ৬৫ হাজার ৫০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-১৪ শাখা থেকে জারি করা হয়েছে।চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শফিকুর রহমান।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এখন থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন। বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে আছেন।
তবে গ্রেড পরিবর্তনের আগে কিছু প্রশাসনিক ও আর্থিক শর্ত পূরণ করতে হবে।
এর মধ্যে রয়েছে —
-
অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের সম্মতি নেওয়া,
-
বাস্তবায়ন অনুবিভাগের অনুমোদন,
-
এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন।
এছাড়া পদোন্নয়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বিদ্যমান নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধন করতে হবে।
প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের জন্য শর্ত
প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সরকারি আদেশ জারি হওয়ার তারিখ থেকে ১৬ মাসের মধ্যে নির্ধারিত প্রশিক্ষণ (Basic Training for Primary Teachers) সম্পন্ন করতে হবে। এ সময়সীমার মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন না করলে উন্নীত গ্রেডের সুবিধা বাতিল হতে পারে।
শিক্ষক সমাজের আপত্তি
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। তাদের দাবি, রায়ে বলা হয়েছিল ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে ১০ম গ্রেড কার্যকর করতে হবে,কিন্তু সরকার বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে, যেদিন রায় ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল-আমীন দৈনিক শিক্ষাবার্তা ডটকমকে বলেন,“রায়ে স্পষ্ট বলা আছে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে ১০ম গ্রেড কার্যকর করতে হবে। কিন্তু সরকার ২০১৯ সাল থেকে দিচ্ছে। এটা রায় এড়ানোর চেষ্টা।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করব।”
চিঠির নির্দেশনায় আরও বলা হয়—
-
প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে।
-
সরকারি আদেশের একটি কপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে পাঠাতে হবে।