দুই কিস্তিতে মিলবে পাঁচ মাসের বকেয়া

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাZয় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর গেজেট জারি করেছে সরকার। তাতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বনিম্ন ২০ নম্বর গ্রেডে মূল বেতন ৮,২৫০ টাকা ও সর্বোচ্চ এক নম্বর গ্রেডে ৭৮,০০০ (নির্ধারিত) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গেজেট ছাপানোর কাজ চলছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেদুর রহমান গতকাল বিকেলে  বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় সরকারি আদেশ জারির পর ওই দিনই তা বই আকারে ছাপানোর জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে।

গেজেট জারি হওয়ায় চলতি ডিসেম্বর মাসের বেতন জানুয়ারিতে নতুন কাঠামো অনুযায়ী পাবেন চাকরিজীবীরা। গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে এই বেতন কাঠামো। ফলে গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এই বকেয়া বেতন দেওয়া হবে দুই ধাপে। ডিসেম্বরের বেতন জানুয়ারিতে দেওয়ার সময়ই মিলবে জুলাই আর আগস্ট মাসের বকেয়া বেতন। আর সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর—এই তিন মাসের বকেয়া পাওয়া যাবে জানুয়ারি মাসের বেতন ফেব্রুয়ারিতে পাওয়ার সময়। একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ বকেয়া অর্থের সংস্থানের ঝামেলা মেটাতে সরকার দুই ধাপে তা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আইন মন্ত্রণালয় থেকে নতুন কাঠামোর সরকারি আদেশ জারি হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর। পরে তা বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। ফলে গত ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যাঁরা টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেডসহ আগের বেতন কাঠামোর বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছেন, সেগুলো সব বহাল থাকবে। তবে নতুন করে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড আর পাবেন না কেউই।

জারি করা আদেশে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের যোগদানের ক্ষেত্রে কিছুটা বৈষম্য থাকছে। ক্যাডার কর্মকর্তারা এখন থেকে অষ্টম গ্রেডে যোগদান করবেন। আর নন-ক্যাডাররা করবেন নবম গ্রেডে। এত দিন উভয় শ্রেণির কর্মকর্তারা নবম গ্রেডে যোগ দিতেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অষ্টম গ্রেডে যোগ দেবেন। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে সুবিধা পেতেন, তা হিসাব করে নির্দিষ্ট বছর পর পর পদোন্নতির প্রক্রিয়া নির্ধারণ ও প্রয়োজনে পদ সৃষ্টি করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। তবে চিকিৎসকদের একই দাবি থাকলেও সে ব্যাপারে কোনো সুরাহা নেই নতুন বেতন কাঠামোতে।

জারি হওয়া আদেশে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যাঁদের পদোন্নতি হবে না, তাঁরা প্রথম ১০ বছর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেতন কাঠামোর ওপরের গ্রেডে পৌঁছাবেন। আর পরেরবার ওপরের গ্রেড পাবেন আরো ছয় বছর পর। নিম্ন গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতির সুযোগ কম থাকায় তাঁদের জন্য প্রযোজ্য সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দিয়ে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

বেতন কাঠামোর আদেশে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি সুবিধা (ইনক্রিমেন্ট) সবার ক্ষেত্রেই বাতিল করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে প্রতিবছর একই দিনে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ইনক্রিমেন্ট পাবেন।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।