প্রাথমিক শিক্ষকদের পদমর্যাদা অবনমন। আন্দোলনের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 1440846878প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদার বেতন নির্ধারণ করা হচ্ছে না কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার অভাবে এমনটাই অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের।  ফলে ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০ টাই এক জরুরী সভা আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সমিতির মুখপাত্র খায়রুল ইসলাম।

সুত্রমতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির গেজেটেড  মর্যাদা বাতিল করা হয়। আদেশ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকরা নিজেদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদাপ্রাপ্ত দাবি করতে পারবেন। তবে তারা ‘নন-গেজেটেড’ মর্যাদাসম্পন্ন বলেই বিবেচিত হবেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেকেই আগামী মাসে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।

মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেয়ার পর প্রায় সারা দেশেই প্রশাসনিক পর্যায়ে কমবেশি জটিলতা তৈরি হয়েছে। মুলত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা (এটিইও) দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদাপ্রাপ্ত হবার কারনে  দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা লাভের পর প্রধান শিক্ষকদের অনেকেই এটিইওদের মানছিলেন না। এ  জটিলতার কারণে মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয়ে দেড় বছর পর নতুন আদেশ জারি করে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় যুগ্ন আহবায়ক ও খুলনা বিভাগের আহবায়ক স্বরুপ দাস বলেন সারা দেশে ৬৪০০০ প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে হাতে গোনা ২/১ জন এমন প্রধান শিক্ষক থাকতে পারে। তবে এসমস্যার জন্য গেজেটেড মর্যাদা কেড়ে নেবার কোন কারন নাই।

‘প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়ানো এবং তাদের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারিকরণের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ এবং প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দুই ধাপ বাড়িয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ারও ঘোষণা দেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ উপরে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার অভাবেই এক বছর চার মাস দেড় বছর  পরও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার বেতন নির্ধারণ করা হচ্ছে নাবরং তাদের পদমর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে।

অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান না হলে ঈদের পর আন্দোলন ও আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।