পারিবারিক আইনেই বড় বৈষম্যের শিকার নারী
এস কে দাসঃ নারীর অগ্রগতির জোয়ার দৃশ্যমান, তাতে কোন সন্দেহ নেই। দেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের ¯পীকার, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সংসদের উপনেতা- সবাই নারী। যোগ্যতা বলে নারী হচ্ছেন উচ্চ আদালতের বিচারক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পুলিশ, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, সচিব, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা। পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে রাখছেন বিরাট অবদান। নারীর অর্জনের ঝুলিতে প্রতিবছরই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন মাইলফলক। কিন্তু নারীর সাফল্যে উদ্ভাসিত এমন আলোর নিচেই আছে অন্ধকার। বিভিন্ন আইনী অসমতা নারী অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে উঠছে। প্রচলতি ঔপনেবিশক আমলের ধর্মভিত্তিক বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন দেশে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই সব আইন বিলোপে নারী মুক্তির সিডও সনদের সংরক্ষণ ২১ বছরেও প্রত্যাহার করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা মৌলবাদী শক্তির কারণে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের উদ্যোগ আজও থমকে আছে। আজও শতকরা ৮৭জন নারী জীবনের কোন না কোন সময় পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আবার তাদের মধ্যে আইনের আশ্রয় নিতে সক্ষম হচ্ছেন মাত্র ২ শতাংশ নারী। বিচারে দীর্ঘসূত্রিতাসহ নানা কারণে বিদ্যমান নারীবান্ধব আইনের কার্যকারিতাও মাত্র ১০ শতাংশ। আর দেশের ১৭ লাখ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য কোন সুনির্দিষ্ট পারিবারিক আইনই নেই। এমন পরিস্থিতিতে নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন শীর্ষক প্রতিপাদ্যে আজ দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় পালিত হল আন্তজার্তিক নারী দিবস।
গতাকাল রোববার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় দর্শনা পুরাতন বাজার সোসাইটি চত্বরে অনুষ্ঠানটির উদ্ধোধন করেন ওমেন্স ক্লাবের সভাপতি রানী শাহ। আলোচান সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরন করা হয়। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিল ক্লাবের সহ সভাপতি শাকিলা মুনসুর সোহানী , সাধারণ সম্পাদক শাহীনা আসাদ স্বপ্না সাংগঠনিক ,সম্পাদক আজাদী, কোষাধক্য বিলু আক্তার, সিসিলিয়া, পলি, মুক্তা, শিপ্রা দাস, মন্জুয়ারা, মুক্তা , মালা, প্রমুখ।