আল হেলাল, দামুড়হুদা প্রতিনিধি: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করলেও বাস্তবে তা কার্যকরী হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, এ ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার দর্শনা সরকারী কলেজের বেশিরভাগ শিক্ষকরা সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কোচিং বাণিজ্য আরও জোরদার ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এটি বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে যেখানে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা কোচিং বানিজ্য এর সাথে যুক্ত শিক্ষকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন যা পরিবারের উপর বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে এবং ব্যয় নির্বাহে অভিভাবকগণ হিমশিম খাচ্ছেন। এ ছাড়াও অনেক শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে মনোযোগী না হয়ে কোচিং এ বেশী সময় ব্যয় করছেন। এ ক্ষেত্রে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকগণ চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এ স¤পর্কিত মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং ৭৩৬৬/২০১১ এর আদেশের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর কোচিং বাণিজ্য বন্ধে একটি গেজেট নোটিফিকেশন বা অন্য কোন রূপ আদেশ প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুল ইসলাম কলেজ শুরুর পূর্বে ক্লাসের ছেলেমেয়েদের অতিরিক্ত ক্লাসের নামে কোচিং করাচ্ছেন। এমনকি ক্লাসে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধকরে কোচিং এ বাধ্য করছেন। অতিরিক্ত ক্লাস বাবদ ১৫০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি নিচ্ছেন ৪০০-১০০০ টাকার মধ্যে।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন তিনি সরকারী নিয়ম নীতি মালার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন। অতিরিক্ত টাকার বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি বলেন এটি ছাত্রছাত্রীদের সর্ম্পকের ব্যাপার তারা আমাকে কত টাকা দিবে। তিনি আরও বলেন শুধু তিনি একা পড়ান না কলেজের সব শিক্ষক কোচিং করান। এ ব্যাপারে তাদের কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া আছে।
দর্শনা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার অনুমতি দেয়া আছে। তবে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার কথা আমার জানা নেই। তবে ব্যাক্তিগতভাবে কেউ নিলে সেটা তার ব্যাপার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক একাধিক ছাত্রছাত্রীরা অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার কথা স্বীকার করলেও বিভিন্ন কারনে তারা ভীত। ফলে মুখ খুলে কিছু বলতে চান না।
এ ভাবেই দর্শনা শহরের অনেক শিক্ষক সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পর্দার আড়ালে থেকে তাদের এ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সচেতন দর্শনা বাসী অবিলম্বে কোচিং বানিজ্য বন্ধে কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।