বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিবন্ধন বিধিমালায় বড় পরিবর্তন, আসছে নতুন নিয়ম

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আসছে। শিক্ষক নিবন্ধন বিধিমালায় “কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা” অংশে আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)

এই নতুন বিধি অনুযায়ী, বিষয়ের মিল থাকলেই শিক্ষকরা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ পেতে পারবেন। আসন্ন ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে এনটিআরসিএ সূত্র।

 শিক্ষাগত যোগ্যতায় একীকরণ আসছে

এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে ভিন্ন ভিন্ন কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে জেনারেল বিভাগের নিবন্ধনধারীরা মাদ্রাসা বা কারিগরি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারতেন না। এতে অনেক প্রার্থী নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হতেন।

এক কর্মকর্তা জানান, “বিধিতে পরিবর্তন আনা হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে সব বিভাগের মধ্যে যোগ্যতা একীভূত হবে। এতে অনেক প্রার্থী নিয়োগ সুপারিশের সুযোগ পাবেন।”

 ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির অভিজ্ঞতা থেকে সিদ্ধান্ত

৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার অসামঞ্জস্যের কারণে প্রায় ৫,০০০ শিক্ষককে নিয়োগের সুপারিশ করা যায়নি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই নতুন নীতিমালায় একতা আনা হচ্ছে।

একজন কর্মকর্তা বলেন, “৪০টি বিষয়ের জন্য তিন অধিদপ্তরে আলাদা যোগ্যতা থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। এখন একীভূত করলে প্রার্থীদের সুযোগ বাড়বে।”

 মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যুক্তের পরিকল্পনা

নতুন বিধিমালায় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এনটিআরসিএ জানিয়েছে, এটি প্রার্থীদের যোগ্যতা মূল্যায়নে আরও স্বচ্ছতা আনবে।

১৯তম নিবন্ধনে প্রশ্নকারকদের সম্মানী বাড়বে

এবারের ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রশ্নকারকদের সম্মানী বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। যেহেতু এবার এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ২০০ নম্বরের, তাই প্রশ্নকারকদের কাজের পরিমাণও বাড়বে বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ।

আগে একজন প্রশ্নকারক ১০–২৫টি প্রশ্ন তৈরি করতেন, এখন তার সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। সেই অনুপাতে তাদের সম্মানীও বৃদ্ধি করা হবে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।