পাবিপ্রবিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি।

Image

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্র রাজনীতিসহ সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় গত ১৩ আগস্ট। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণসংযোগ চালিয়েছে ছাত্রদল।

কর্মসূচি পালনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্যাম্পাস রাজনীতিমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা। রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনে যাবেন বলে জানান সাধারন শিক্ষার্থীরা

সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১.৩০ এ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড তানভীর হায়দার এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড রাশেদুল হকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন।

শিক্ষার্থীরা স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, গত ১৩ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বোর্ডের (রিজেন্ট বোর্ড) সিদ্ধান্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ এর ধারা ১১(১২) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকতা ও কর্মচারীদের রাজনেতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয় এবং রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, গতকাল রবিবার (৩ নভেম্বর ) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩ জন নেতা ক্যাম্পাসে এসে প্রকাশ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় এবং দলীয় প্রচারপত্র বিলি করেন। যার ছবি ও ভিডিও ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রচার হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরেও প্রকাশ্যে দিবালোকে এভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ বলে আমরা মনে করি। আমরা এই কর্মসূচির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এমতাবস্থায় রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গ করে যে সকল শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং যোগ সাজশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদের তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে তদন্তপূর্বক অতিদ্রুত আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে ভবিষ্যতে কোন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন যেন ক্যাম্পাস কোন প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে না পারেন এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জানানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্মারকলিপি হাতে পাওয়ার পর উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে অবগত হয়েছি। আমরা চাই এই ক্যাম্পাসটা রাজনীতিমুক্ত থাকুক। এই বিষয়ে আমি এখন তোমাদের সাথে কোন কথা বলবোনা, আমি পরে তোমাদের সাথে এই বিষয়টা নিয়ে বসবো।’

এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, ‘ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরেও একটা রাজনৈতিক দল এখানে কর্মসূচি পালন করেছে এটা আমাদের জন্যেও উদ্বেগের। এখানে আমাদের ব্যর্থতা আছি এটা আমি স্বীকার করি। তবে আমরা যে এ বিষয়টা নিয়ে বসে আছি ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা এরই মধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত আমরা খোঁজা শুরু করেছি। আমরা অতিদ্রুত এই ব্যবস্থা নিতে পারবো বলে আশা করছি।’

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।