কুমিল্লায় প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করালেন শিক্ষার্থীরা

Image

কুমিল্লার মুরাদনগরে জোর করে এক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে উঠেছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ ভবনের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।

জোর করে ওই প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার একটি ভিডিয়ো এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়টির বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ পত্র আমার কাছে দিয়ে গেছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে মহাসমাবেশ

ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না থাকার পরেও এমন ঘটনার নেপথ্যে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম এখন অভিভাবকদের মুখে মুখে। তারা অষ্টম ও নবম শ্রেণীর কিছু শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও মন্তব্য করে বিদ্যালয়টির অভিভাবক সদস্য জাকির হোসেন।

তিনি বলেন, এমপি জাহাঙ্গীর সরকারের ডিও লেটারে এই বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য হয় যুবলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক রিপন। প্রভাব খাটিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানিক হয় অভিভাবক সদস্য।

কমিটি হওয়ার শুরু থেকে এই দুজন আওয়ামী লীগ নেতা রিংকুকে সাথে নিয়ে নানান পায়তারা করে প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগমকে হঠানোর জন্য। গত পাঁচ তারিখ দেশে পরিবর্তন আসায় তারা এলাকা ছাড়া। কিন্তু নেপথ্যে থেকে বর্তমান কিছু শিক্ষার্থীকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছে তারা। যেসব শিক্ষার্থী এ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতাদের সন্তান।

প্রধান শিক্ষক হাছিনা আক্তার বলেন, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমার নিয়োগ হয়। একযোগ পর আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ মানসিক ভাবে কষ্ট দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা আমাকে বেরিকেট দিয়ে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রেখে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে পদত্যাগের স্বাক্ষর নেয়।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।