১৩ বছর আগে বিসিএসের পুলিশ ভেরিফিকেশনে বাদ পড়েছিলেন মো. ইব্রাহিম সাবিত। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) তিনিসহ ২৫৯ জন ক্যাডার হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। তবে সাবিত এতে যোগদান করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। ফেসবুকে নিজের আইডিতে একটি পোস্টে তিনি এ তথ্য জানয়েছেন।
পোস্টে সাবিত লিখেছেন, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পরিচিত জনদের মেসেজ – তুই/আপনি তো বিসিএস ক্যাডার হয়ে গেলেন। বলে কি? আমি থাকি আমেরিকা, সম্প্রতি তো বিসিএস দেওয়াই হয়নি। যাই হোক- ১৩ বছর আগে বিসিএস এর পুলিশ ভেরিফিকেশনে বাদ পড়েছিলাম: আলহামদুলিল্লাহ। এখন প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে একটা প্রাইভেট ফার্মে কর্মরত আছি- সেটাও আলহামদুলিল্লাহ।
বাংলাদেশের কয়জন মানুষ ঠিকমতো জানত যে, গত ১৫ বছরে দেশ থেকে শুধু ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়নি, অন্তত ২৫৯ জনকে বিসিএস
এর ভাইভাতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও গেজেট প্রকাশের সময় বাদ দেয়া হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। চিন্তা করতে পারেন, কত লক্ষ মেধাবীকে বাদ দিয়ে শুধু দলকানা দালালকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে?
আমার প্রফেশনাল ক্যারিয়ার নিয়ে আমার বিন্দুমাত্রও আক্ষেপ নেই। বিসিএস না হলেও আমি এশিয়া প্যাসিফিকের মতো স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটিতে পড়িয়েছি, তিতাস গ্যাসে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মেধাক্রমে ছিলাম ১ এ, আমেরিকাতে ফুল ফান্ডিং নিয়ে উচ্চতর শিক্ষায় আসি, মাস্টার্স শেষে গত ৫ বছরে চারটি ফেস-টু-ফেস ইন্টারভিউ দিয়ে ৪টি চাকরিই পেয়েছি। সম্প্রতিই উপজেলা/কাউন্টি লেভেলে ডেপুটি চিফ অফ ইঞ্জিনিয়রিং সার্ভিস এর ইন্টারভিউ দিয়ে এলাম- আক্ষেপ করার কী কোন কারণ আছে?
একটু হয়তো আছে – ১৩ বছর আগে এ চাকরিটা হয়ত আমি চেয়েছিলাম, হয়ত আমার রেমিট্যান্সের বদলে মেধা দেশের কাজে একটু হলেও লাগাতে পারতাম। একটু হিউমিলিয়েশনও কি ফেস করিনি? রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পরিবার থেকে কাউকে বিসিএসের মতো সিস্টেমে চাকরি দেওয়া হবে না- একটা স্বৈরাচার সরকারের এমন আচরণের কি ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব ছিল আমার পরিচিতজনদের?
আরো পড়ুন: ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ১ সেপ্টেম্বর
তিনি বলেন, চাকরি না দিয়ে আমাকে যদি অপমান করার চেষ্টা হয়, তাহলে আমি তো বলব, আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন, দিয়েছেন উত্তম রিজিকও। বিভিন্ন প্রফেশনাল ও স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনে আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছি ভাল কিছু করার!
But I would like to note the bright side of all of these. Along the way, I have met lots of beautiful minds and learned a lot from them. আমার মনে পড়ে না, আমার আচরণে ইচ্ছে করে কাউকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য কখনোই ছিল, কেউ কোনোভাবে কষ্ট পেলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। স্বাধীন বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক- মেধায়, মননে আর প্রাতিষ্ঠানিকতায়। এই মুহূর্তে এই চাকরিতে যোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না – ইনশা’আল্লাহ ভবিষ্যতে চিন্তা করব কিভাবে দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারি। Thank you my family and all my friends for all of your supports.
সুত্র: ডেইলি ক্যাম্পাস