বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের আবেদনগ্রহণ চলছে। চলতি মাসেই এ নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হতে পারে। এরপর কতগুলো পদ শূন্য রয়েছে তা যাচাই করে দ্রুত আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কার্যক্রম শুরু করা হবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশে ৯৬ হাজার ৭৩৬ জন শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছিল এনটিআরসিএ। তবে আদালতের নির্দেশনা এবং নিবন্ধন নীতিমালা অনুযায়ী এই গণবিজ্ঞপ্তিতে কেবলমাত্র ১৬তম এবং ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন। ফলে এই বিপুল সংখ্যক পদ শূন্যই থেকে যাবে।
আরও পড়ুন: ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা কবে—জানাল এনটিআরসিএ
এ অবস্থায় ফাঁকা থাকা শূন্য পদগুলো পূরণে আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চায় এনটিআরসিএ। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে কতগুলো পদ শূন্য থাকে সে বিষয়টি বিবেচনা করে চলতি বছরেই এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে কতগুলো পদ শূন্য থাকে সে বিষয়টি বিবেচনা করে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
এদিকে আগামী সপ্তাহে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করতে সভা ডেকেছে এনটিআরসিএ। আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে টেলিটকের সঙ্গে সভা করবে সংস্থাটি। এরপর প্রাথমিক সুপারিশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হতে পারে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, টেলিটকের সঙ্গে আমাদের সভায় প্রাথমিক সুপারিশসহ বেশি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ওই সভা শেষে প্রাথমিক সুপারিশ কবে করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এর আগে গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।