বর্তমানে প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পুরুষ ও নারীর যোগ্যতা পদোন্নতির ক্ষেত্রে স্নাতক (২য় বিভাগ) সহ ১০ বছরের অবিজ্ঞতা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মাষ্টার্স(২য় শ্রেণি)। আবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরাও স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তরে শিক্ষকদের বর্তমানে ১২তম গ্রেড বাস্তবায়ন হয়। এ ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা।
আরো পড়ুন: ৪০তম বিসিএস থেকে নিয়োগ পেলেন ৩৮৪ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
প্রধান শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সম্পাদক স্বরুপ দাস বলেন হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক, পুলিশের উপপরিদর্শক, হাসপাতালের নার্স, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব— এদের নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক, বেতন গ্রেড ১০ম; কিন্তু প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য যোগ্যতা স্নাতকোত্তর সমমান (২য় বিভাগ) হওয়ার পরও বর্তমানে ১২তম গ্রেডের বেতন নির্ধারণ করা হয়, যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মাস্টার্স, বিএড, ডিপিএড ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণির চাকরিজীবী হিসেবে গণ্য হবেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।
শিক্ষকতা শুধু পেশা নয়; একজন শিক্ষককে দীর্ঘদিনের চর্চার মাধ্যমে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে শ্রেণি পাঠদান করতে হয়। একজন দায়িত্বশীল শিক্ষকই শিক্ষার্থী, সমাজ ও দেশকে পরিবর্তন করতে পারেন। ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হলে প্রধান শিক্ষকদের সঠিক মূল্যায়ন করা হবে; শিক্ষকদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে।