১৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। তবে ছাত্র সংশ্লিষ্ট জরুরী কাজ চিকিৎসা, সনদপত্র উত্তোলন ইত্যাদি কাজ অব্যাহত রেখেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত অফিস সময় তারা এ কর্মবিরতি পালন করেন। এসময় সকল অফিসিয়াল কাজ থেকে তারা কর্মবিরতি পালন করেন। গত জুলাই মাসে একই দাবিতে লাগাতার প্রায় ১৬ দিন পাঁচ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন কর্মকর্তারা।
তাদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো, চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর করা, সিন্ডিকেটর সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মকর্তাদের সেশন বেনিফিট বহাল রাখা, আইসিটি সেলের উপ-রেজিস্ট্রার মমতাজের চাকরি হতে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, পোষ্য কোটার ভর্তিতে শর্ত শিথিল করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুজনিত কারণে কর্মচারীবৃন্দের পরিবারের যোগ্যতম ব্যক্তিকে সিণ্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মৃত্যুর ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যেই চাকুরী প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরীক্ষার পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করা এবং সিন্ডিকেটের অনুমোদিত কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালার বিশেষ টিকার আলোকে ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শাখা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভিকারুননিসা নূন স্কুলে অবৈধ ভর্তি নিয়ে তোলপাড়
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগোপযোগী অর্গানোগ্রাম তৈরি করা, চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্মরত সকল স্তরের টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করতে হবে, সাধারণ কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালানুযায়ী বছরে চার বার পদোন্নতি/আপগ্রেডিং এর মাধ্যমে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে।
কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট বলেন, আমরা কর্মকর্তা সমস্যাসমূহ সমাধানে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা কাম্য।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটি এম এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যায্য দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলনে নেমেছি। এ প্রশাসন দাবি মেনে নেয় কিন্তু কোন একশান নেন না। আগস্ট মাস শোকের মাস বলে আমরা সকল প্রকার আন্দোলন থেকে বিরত ছিলাম। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’