কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের একটি ভবনকে গেস্ট হাউজ বানিয়ে নিয়মিত পর্যটকদের কাছে ভাড়া দিচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
পঞ্চাশ হাজার টাকায় শেয়ার নির্ধারণ করে কয়েকটি শ্রেণিকক্ষকে কুয়াকাটা বি.বি গেস্ট হাউস নাম দিয়ে নিয়মিত সাধারণ পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন: আরও ৮ জেলায় নতুন ডিসি
এসব কক্ষে নেই শিক্ষার্থীদের বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল। আছে খাট-বিছানা, টি-টেবিল, সোফা। বিদ্যালয় ভবনে দীর্ঘদিন যাবত বেআইনি ব্যবসা চললেও উপজেলা প্রশাসন কিংবা শিক্ষা বিভাগ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
জানা যায়, কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থানীয়ভাবে বেশ সুনামের সঙ্গেই শিক্ষা দিয়ে আসছিলো। তবে গত কয়েক বছর ধরে কোনো ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের একটিকে গেস্ট হাউস বানিয়ে নিয়মিত পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
আর পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাড়াও হচ্ছে নিয়মিত। এই গেস্ট হাউস তৈরির অর্থ কোথা থেকে এসেছে, ভাড়া কোথায় যাচ্ছে কিংবা কে কি খাতে ব্যয় করছেন এর সঠিক কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি।
এদিকে ওই বিদ্যালয়ে কক্ষ ভাড়া নেওয়া পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের এক স্টাফ তাদের ডেকে এনে ভাড়া দিয়েছেন এবং তাদের যে কক্ষে ওঠানো হয়েছে তার চাবির রিংয়ে কুয়াকাটা বি.বি. গেস্ট হাউস লেখা।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, মূলত বিভিন্ন সময় শিক্ষা বিভাগ থেকে অনেক কর্মকর্তা কুয়াকাটায় আসেন। তাদের জন্য অনেক সময় রুম পাওয়া যায় না।
সে কারণে গেস্ট হাউস হিসেবে কয়েকটি রুম করা হয়েছে। এগুলো কখনো সাধারণ মানুষের কাছে ভাড়া দেওয়া হয় না। বিদ্যালয়টির মোট চারটি কক্ষকে গেস্ট হাউস বানানো হয়েছে, যার দুটি কক্ষে দ ‘জন শিক্ষক নিয়মিত থাকছেন এবং দুটি কক্ষে অতিথিরা এলে থাকেন। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষকে গেস্ট হাউস হিসেবে ব্যবহার করার কোনো আইনগত ভিত্তি আছে কিনা প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মুজিবুর রহমানের বলেন, কোনো অবস্থাতেই বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমকে গেস্ট হাউস হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ নেই। এমনটি হয়ে থাকলে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।