৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশে আর বাধা নেই : এনটিআরসিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩১ মে, ২০২১
৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ করতে এনটিআরসিএ আবেদন গ্রহণ করেছে। এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ করতে প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ আর কার্যকর নেই। আদেশটি ‘রিকল’ করা হয়েছে। তাই ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ করতে আর কোন আইনি বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা। সোমবার (৩১ মে) ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থীর করা আদালত অবমাননার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের দেয়া রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা এসব কথা বলেছেন।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থী যারা আদালত অবমাননার মামলা করেছেন, তাদের বিষয়ে রায় দিয়েছেন আদালত। রিটকারীদের আইনজীবীরা বলছেন, এ প্রার্থীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে এনটিআরসিএর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আর এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়ের একটি অংশে বলা ছিল, এনটিআরসিএকে রিটকারী ও অন্যান্য আবেদনকারীদের অর্জিত সনদ ও নিয়োগের জাতীয় মেধাতালিকা অনুসরণ করে শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ করতে হবে। সে রায় ৪ সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা বলছেন, সে রায় অনুসারেই এনটিআরসিএ চলমান ৩য় চক্রে ও ২য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ করেছে। তাই, আদালত অবমাননা হয়নি।

কর্মকর্তারা আরও বলছেন, আদালত আদেশ দেয়ার পর গণবিজ্ঞপ্তিতে দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া হয়েছে। তাই ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশে আর কোন বাধা নেই।

সোমবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে চাকরি প্রত্যাশিদে পক্ষে অংশ নেন খুরশিদ আলম খান, মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও অন্যান্যরা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। এনটিআরসিএর পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান। পরে, বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ আদেশ দেন।

জানা গেছে, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল হাইকোর্ট।

এ রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর আইন শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দেয়া রায়ের একটি অংশে বলা ছিল, এনটিআরসিএকে রিটকারী ও অন্যান্য আবেদনকারীদের অর্জিত সনদ ও নিয়োগের জাতীয় মেধাতালিকা অনুসরণ করে শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ করতে হবে। সে রায় ৪ সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ রায়ের ৭ দফা নির্দেশনা অনুসারেই এনটিআরসিএ চলমান ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ ও ২য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ করেছে। এনটিআরসিএ আদালত অবমাননা করেনি। প্রার্থীরা জাতীয় মেধাতালিকা অনুসারে আবেদন করে নিয়োগ না পাওয়ায় আদলত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। এনটিআরসিএ আদালতের নির্দেশনা অনুসারেই নিয়োগ সুপারিশ করছে।

এনটিআরসিএ’র আইনজীবী কামরুজ্জামান বলেন, ১ম থেকে ১২তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিবন্ধনধারীদেরকে নিয়োগ দিতে গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিতের আদেশ রি-কল করা হয়েছে। এ আদেশটি মডিফাই করে রিকল করেছেন আদালত। তাই নিয়োগ সুপারিশ করতে কোন বাধা নেই।

ফিরে দেখা যাক, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর আদালতের দেয়া ৭ দফা নির্দেশনার ৫ নম্বর দফায় কি বলাছিল। এ নির্দেশনায় বলা ছিল, The NTRCA is derected to purpose/recommend the names of the writ petioners and the other prospective applicants pursuant to the Non-Goverment Educational Institutions. However after appointment the Education Ministry or the Education Board on the application of the appointed teachers may allow the interchange of the teachers to their respective native school.

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।