নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ এপ্রিল, ২০২১:
সারাদেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রায় ২৩ লাখ মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষার্থী দিশেহারা। কবে নাগাদ স্কুল খোলা হবে, কবে থেকে পরীক্ষা শুরু হবে- এসব প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এ অবস্থায় গত রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমদের সঙ্গে কথা বলেছে শিক্ষাবার্তা ডটকমকে। তিনি জানিয়েছেন, যখনই বিদ্যালয় খুলে দেওয়া সম্ভব হবে, তার পর থেকে ৬০ কর্মদিবস ক্লাস নেয়া হবে। এর পর আরও ১৫ দিন সময় দিয়ে তবেই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, এরই মধ্যে এ বছরের পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ওই সিলেবাসের ওপরই এসএসসির প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, ক্লাস না নিয়ে কোনোভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হবে না। সারাদেশে এবার প্রায় ২৩ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবে। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের রয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ। এখনও ফরম পূরণ চলছে। লকডাউনের কারণে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ২৩ মে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৩ মে স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। এর পর ৬০ কর্মদিবস পাঠদান শেষে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিতে চায় সরকার। সব মিলিয়ে আগস্টের শেষে মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, যেভাবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে নতুন করেও ভাবতেও হতে পারে ছুটির বিষয়ে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এবারের এসএসসি ও এইচএসসির একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। তা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোও হয়েছে। বিদ্যালয় যখনই খোলা সম্ভব হবে, ওই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়ে শেষ করে, আরও অন্তত দু’সপ্তাহ সময় দিয়ে তবেই পরীক্ষা নেয়া হবে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেনও একই কথা বলেন। তিনি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ঘরে বসেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। অনলাইন ক্লাসগুলো ঠিকভাবে করতে হবে।
পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডর চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তীও। শতভাগ প্রস্তুত রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা নিয়েই শিক্ষার্থীদের ফল দিতে চাই। সে লক্ষ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। স্কুল খোলার পর ৬০ কর্মদিবস ক্লাস করিয়ে তাদের পরীক্ষা গ্রহণের কথা মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা এখনও সেই সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে আছি। লকডাউনের পর এ ব্যাপারে মন্ত্রীর সঙ্গে বোর্ডপ্রধানদের বৈঠকের কথা রয়েছে।’
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রমা বিজয় সরকার সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যথাসময়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। সিলেট বোর্ডে এসএসসিতে আনুমানিক সোয়া লাখ এবং এইচএসসিতে ৮০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী এ বছর পরীক্ষা দেবে।