নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জুলাই, ২০২০
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ শ্রেণির ৩ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। তাই, এসব শিক্ষার্থীর নতুন বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার কার্যক্রম চলছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিকাশ একাউন্ট খোলার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
সোমবার (১৯ জুলাই) অধিদপ্তর থেকে সব জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বিকাশ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্ট খোলার সিডিউল নির্ধারণ করবেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তত্ত্বাবধানে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের সহযোগিতায় বিকাশ প্রতিনিধি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্ট খুলে দেবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিডিউল অনুমতি ছাড়া বিকাশ প্রতিনিধি সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না।
এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপজেলার বাইরে রয়েছেন, তারা অবস্থানরত উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ শেষ করবেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা এসব শিক্ষার্থীর নাম, আইডি, মোবাইল নম্বর, প্রতিষ্ঠানের তথ্য একটি ছকে সংগ্রহ করেবেন। শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠান তার তথ্য দিয়ে একই রকম একটি ছক তৈরি করবে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পৃথকভাবে নিজ নিজ উপজেলার বিকাশ প্রতিনিধির কাছে এসব তথ্য জমা দিবেন। বিকাশ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ শেষ করবেন।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় একাউন্ট খোলার সময় খালি ক্লাসরুমে ফাঁকা ফাঁকা করে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে, ৩১ আগস্টের মধ্যে অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ শেষ করতে হবে।
উপবৃত্তির তালিকা ভুক্ত সব শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্ট খোলা নিশ্চিত করতে হবে। কোন যোগ্য শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে বাদ পড়লে বা কোন অযোগ্য শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্ট খোলা হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।
শিক্ষার্থী বা তার পিতা-মাতা বা অভিভাবকের নাম ছাড়া অন্য কারো নামে রেজিস্ট্রেশন করা নাম্বারে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না। অসত্য বা ভুল তথ্য দিয়ে উপবৃত্তির টাকা নেয়া হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে সে টাকা ফেরত দিতে হবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।