ডেস্ক,৮ মার্চঃ
শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী না হয়ে নন ক্যাডার শিক্ষকরা ব্যস্ত থাকেন কোথায় কোন নিয়োগ পরীক্ষা, কোথায় বদলি হবেন, মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরে ঘোরাঘুরি ও প্রধান শিক্ষকদের অসহযোগীতা করাসহ ইত্যাদি কাজে। এতে পড়াশোনা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে আসা লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতারাও ননক্যাডার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। সিনিয়র শিক্ষকদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলার অভিযোগ রয়েছে এসব নন ক্যাডারদের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুন্সিগঞ্জের কে কে গভ. ইনস্টিটিউশনের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, নন ক্যাডারদের তো স্কুলেই পাওয়া যায় না। পরীক্ষা আর তদবিরে ব্যস্ত থাকেন তারা।
এ ভি জে এম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, নন ক্যাডাররা মনে-প্রাণে শিক্ষক না। নিজেদের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতে ব্যস্ত। শিক্ষক পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন। চাকরিতে যোগদান করেই সিনিয়র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিষোদগারে লিপ্ত হয়েছেন কেউ কেউ।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম নামের একজন ননক্যাডার শিক্ষক বলেন, এটা খুবই যৌক্তিক যে আমরা ক্যাডার কর্মকর্তা হওয়ার জন্য ফের বিসিএস পরীক্ষা দেবো। এতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান তো কিছুটা ব্যাহত হবেই। পরীক্ষা দেয়া তো আমার অধিকার। তাছাড়া সরকারি হাইস্কুলে কিছু সিনিয়র শিক্ষক রয়েছেন যারা কোনোভাবে চাকরিতে ঢুকেছিলেন। পড়াশোনা খুব একটা জানে না। তারা জুনিয়রদের সহজে মেনে নিতে চান না।
তবে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে মন্ত্রণালয়। শীঘ্রই এ বিষয় নিয়ে সুষ্ঠ সমাধান হবে।