২৮ এপ্রিল ২০১৯:
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকদের ভুমিকা যথেষ্ঠ। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা তথা পাঠদানের কাজটি করেন সহকারী শিক্ষকরা। সহকারী শিক্ষকদের ওপরই নির্ভর করে প্রাথমিক শিক্ষার সফলতা অথবা ব্যর্থতা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবী হয়েও এই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা বেতন পদমর্যাদায় এখনো চরমভাবে অবহেলিত।
গাছের গোড়ায় পানি না দিয়ে আগায় দিলে যেমন ভালো গাছ পাওয়া যায় না, তেমনি সহকারী শিক্ষকদের অবহেলিত রেখে কখনো মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করা যাবে না—এটা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অনুধাবন করতে হবে। শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য কেন আন্দোলন করতে হবে? তাঁরা তো এমন কোনো দাবি করেননি যা অযৌক্তিক? বিদ্যালয়ের প্রাণ সহকারী শিক্ষকরা ১৯৭৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত পদ অনুসারে প্রধানশিক্ষকের এক ধাপ নিচে বেতনভাতা পেতেন, সেখানে বর্তমানে ৩ ধাপ নিচে বেতনভাতা পাচ্ছেন—যা লজ্জাজনক।
সরকার প্রধানশিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতনভাতা দিচ্ছে। তাই সহকারী শিক্ষকরা পূর্বের দেওয়া মর্যাদা ও পদ অনুসারে প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেড অর্থাত্ ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছেন। কর্তৃপক্ষও সহকারী শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক বলে স্বীকার এবং তা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই। যা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের অন্তরায়। তাই সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দ্রুত প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সহকারী শিক্ষক, ভীমদামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝলঝলি, তেপুকুরিয়া, বোদা, পঞ্চগড়