বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের মে-২০১৮ মাসের বেতন ভাতার সরকারি অংশের টাকার ৮টি চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রোববার বেতন-ভাতার অনুমোদন দেয়া হয়। সোমবার ঈদ বোনাসের (বেতনের ২৫ শতাংশ) অর্থ ব্যাংকে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে।
মাউশি উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী (সাধারণ প্রশাসন) বলেন, মাউশির অধীনস্থ স্কুল ও কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের মে মাসের এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) বণ্টনকারী অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়ে এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার ঈদুল ফিতরের বোনাসের অর্থও ব্যাংকে জমা দেয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-বোনাসের অর্থ আগামী ১০ জুনের মধ্যে এ অর্থ উত্তোলন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আগামী ১০ জুন পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারিরা তাদের নিজ নিজ ব্যাংকের হিসাব নম্বরের মাধ্যমে বেতনভাতার টাকা তুলতে পারবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, বেসরকরি শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ বোনাস না দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বেসরকরি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সিদ্ধান্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম রনি। তিনি বলেন, শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ বোনাস দেয়ায় সন্তুষ্ট হতে পারিনি।
নজরুল ইসলাম রনি বলেন, দেশে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠান বেসরকরিভাবে পরিচালিত হলেও সরকারি শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বেশি দেয়া হয়। তাদের তুলনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতন কম পান, তারপরও মূল বেতনের মাত্র ২৫ শতাংশ বোনাস দেয়া হয়। বর্তমান বাজারে এ বোনাসের অর্থ দিয়ে তেমন কিছু করা সম্ভব হয় না। তাই বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের শতভাগ বোনাস দাবি করছি।
এদিকে কারগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এইচএসসি (বিএম), এসএসসি (ভোকেশনাল) এবং মাদ্রাসা (ভোকেশনাল ও বিএম) শিক্ষক-কর্মচারীদের মে মাসের এমপিওর (বেতন ভাতার সরকারি অংশ) চেক ছাড় হয়েছে। ১২ টি চেক অগ্রণী, জনতা, রুপালী ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান/স্থানীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবারে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্মারক নং- ৫৭.০৩.০০০০.০৯১.২০.০০৫.১৮-৪৮৩,৪৮৪,৪৮৫ ও ৪৮৬। ১৪ জুন পর্যন্ত শিক্ষকরা স্ব স্ব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
যারা এপ্রিল মাসের বেতনের সরকারি অংশ উত্তোলন করতে পারেননি তারাও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এপ্রিলের বেতন উত্তোলন করতে পারবেন। অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে মাদ্রাসার শিক্ষকদের এমপিওর কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।