বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর করা হচ্ছে। ৩৫ বছর বয়সের পর কেউ আর শিক্ষক হতে পারবেন না। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় এমন প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত নয়। পরবর্তী সভায় প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।
আজ সকাল ১১ টায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপত্বিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরি যোগদানের বয়সসীমা নির্ধারণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে এই সভা করা হয়।
সভায় এনটিআসিএ’র দেয়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর করার পক্ষে মত দেয়া হয়েছে। পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী সভার মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে এনটিআরসিএ’র নিবন্ধিত সারাদেশে প্রায় ৬ লাখ প্রার্থী চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক নিবন্ধিত প্রার্থীরা নানাভাবে বঞ্চিত হয়ে এ পর্যন্ত ২৫০টি মামলা করেন। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ১৬৬টি মামলার রায় দেন আদালত। আদালতে মামলাজনিত কারণে গত দুই বছর ধরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ফলে সারাদেশে বেসরকারি স্কুল-কলেজে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে তীব্র শিক্ষক সঙ্কট দেখা দিয়েছে, ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাবেদ আহমেদ বলেন, আদালতের রায়ের পর নিবন্ধিতদের চাকরিতে যোগদানের বয়সসীমা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়ে আমাদের কাছে চিঠি পাঠায় এনটিআরসিএ। তাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে আমরা সভা করেছি। সেখানে শিক্ষকদের যোগদানের বসয়সীমা ৩৫ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ সুপারিশে সবাই একমত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এটি চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগ দিতে পুরুষ-মহিলাদের আলাদা করে তালিকা তৈরি করতে এনটিআরসিএ’কে নির্দেশনা দেয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে পরবর্তী সভা করা হবে। সেখানে সব বিষয় চূড়ান্ত করা হবে বলেও তিনি জানান।
এনটিআরসিএ’র সদস্য মো. হুমায়ন কবির বলেন, শিক্ষকদের যোগদানের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হলে নিবন্ধিত প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করা হবে। যোগদানের এই বয়সসীমা নির্ধারণ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। এরপর এনটিআরসিএ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।