শিক্ষাবার্তা ডেস্কঃ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতে পারদর্শী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, প্রাথমিকের শিক্ষার মান উন্নয়নে উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে ছোট ছেলে-মেয়েদের বাংলা শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজিতে পারদর্শী করতে হবে। ছোট ছেলে-মেয়ারা অনেক মেধাবী হয়। পারলে তারা আরও দু- একটি ভাষাতেও পারদর্শী হতে পারে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সভায় শেখ হাসিনা বলেন, এখন থেকে ক্লাসরুমে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে হবে। দুটি ভাষা অবশ্যই শেখাতে হবে। এর বাইরে আরও একটি ভাষা শিখলে ভালো হয়।
‘ছোট ছেলে-মেয়েদের পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত শিক্ষা দিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে পাঠ্যপুস্তকে এই ধরনের অধ্যায় সংযোজন করতে হবে। অন্যদিকে ট্রাফিক সংক্রান্ত শিক্ষাও দিতে হবে। দেশের প্রায় সর্বত্র যানবাহনের পরিমাণ বেড়েছে। এ জন্য কীভাবে তারা রাস্তা পারাপার হবে সে সংক্রান্ত শিক্ষাও তাদের দিতে হবে’- বলেন তিনি।
একনেক সভায় চিনি কলে বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এ সময় সরকারি ১৫টি চিনি কল বন্ধ না করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো বাঁচাতে তিনটি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চিনিকলগুলো বর্তমানে বছরের ৩ মাস চিনি উৎপাদন করে। বাকি সময় কাজে লাগাতে চিনি আমদানি করে সেগুলো রিফাইন্ড করতে হবে। তাহলে সারাবছর রিফাইনারি হিসেবে কাজ করবে এবং লাভজনক হবে। এ ছাড়া চিনি উৎপাদনে আখের পাশাপাশি সুগার বিট উৎপাদন ও ব্যবহার করতে হবে। সেইসঙ্গে ঝোলা গুড় দিয়ে স্প্রিট তৈরি করতে হবে।
সভায় মোট ১৬ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রকল্পও রয়েছে। প্রাইমারি শিক্ষার মানোন্নয়নে এই প্রকল্পের আওতায় আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ও পদায়ন করা হবে। একই সঙ্গে প্রায় বিদ্যমান তিন লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। উন্নয়ন করা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো।
প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার (জিওবি) দেবে ৩১ হাজার ৮৪৮ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হতে নেয়া হবে ১২ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। প্রকল্পে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, ইইউ, ডিএফআইডি, অস্ট্রেলিয়ান এইড, কানাডিয়ান সিডা, সুইডিশ সিডা ও ইউনিসেফ ঋণ সহায়তা দেবে।