নালিতাবাড়ী (শেরপুর)প্রতিনিধি : সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শুন্যপদে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্তদের দায়িত্ব হস্তান্তরে অস্বীকৃতি প্রদান করায় কারণ দর্শানোর নোটিশের পাশাপাশি বেতন-ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তিনটি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও দুইজন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়।
জানা গেছে, সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে গত ১ এপ্রিল নালিতাবাড়ী উপজেলার মোট ৩৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শুন্যপদে ৩৪জন সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব প্রদান করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়। ওই আদেশ মতে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্তরা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়সমূহে যোগদান করতে গেলে বেশকিছু বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানান। পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে বেশকিছু বিদ্যালয়ে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে পিঠাপুনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামিরাকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ চলতি দায়িত্ব প্রাপ্তদের দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। এমতাবস্থায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উল্লেখিত তিনটি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান (সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত) শিক্ষক মোঃ শাহজাহান আলম, মোঃ আমিরুল ইসলাম ও মোখলেছুর রহমান লিটনকে শৃংখলা পরিপন্থি কাজের জন্যে ‘কেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না’ মর্মে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং তাদের বেতন-ভাতাদি বন্ধ করা হয়। একইসঙ্গে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্তদের এমআর (মাসিক প্রতিবেদন) শীটে স্বাক্ষর না করায় কালিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী দুই শিক্ষক মানিক মিয়া ও রফিকুল্লাহকে একইভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানসহ তাদের বেতন-ভাতাও বন্ধ রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুন্নেছা জানান, গত ৩ মে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে এবং বেতন-ভাতা স্থগিত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি জানান, এর আগে অনিয়ম, শৃংখলা ভঙ্গ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য পিঠাপুনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তিনি সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে উল্টো হাস্যকর ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ জবাব দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।