নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের টাইম স্কেল বাতিলে ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টসের (ডিসিএ- ঢাকা) আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টসের কার্যালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যারিস্টার জহির উদ্দিন বাবর। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ২৬ এপ্রিল ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টসের কার্যালয় থেকে ডেপুটি ডিভিশনাল কন্ট্রোলার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, নিম্ন পদ (সহকারী শিক্ষক) ও উচ্চ পদ (প্রধান শিক্ষক) চাকরির সমষ্টির (৫০ শতাংশ) ভিত্তিতে টাইম স্কেল প্রাপ্য নয়।
কিন্তু জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি বিধিমালা, ২০১৩ এর ২(গ) এবং ৯(১ ও ৩) অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকগণ চাকরির সমষ্টির ভিত্তিতে টাইম স্কেল প্রাপ্য বলে আবুল কালাম আজাদ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি বিধিমালা অনুসারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ ২০১৩ সাল থেকে টাইম স্কেল সুবিধা পেয়ে আসছে। এরপরেও ডিসিএর ওই বিতর্কিত চিঠির কারণে জেলা ও উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিস প্রধান শিক্ষকদের বেতন-ভাতা অনুমোদনে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় উক্ত চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেরার হারুনুর রশিদ আকন্দ, মো. হাবিবুর রহমান, হালুয়াগাট উপজেলার নবী হোসেন, গফরগাঁও উপজেলার জহিরুল ইসলাম ও ত্রিশাল উপজেলার মাজহার হোসেনসহ ১০৮ জন প্রধান শিক্ষক রিটটি দায়ের করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত উক্ত আদেশ দেন।