ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি বছরের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই কমিটি জানিয়েছে পরীক্ষার্থীদের ক্ষতি হয় এমন কোনো সুপারিশ করবে না তারা।
রোববার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে কমিটির তৃতীয় এবং শেষ সভা শেষে কমিটির প্রধান সচিব মো. আলমগীর এ কথা জানিয়েছেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, গণমাধ্যমে যে সংবাদ এসেছে সেগুলো পর্যালোচনা করেছি। তার সমর্থনে যে কাগজপত্রগুলো দরকার সেগুলো সংগ্রহ করতে বোর্ড, বিটিআরসি এবং পুলিশকে বলেছিলাম। তারা কিছু কিছু কাগজপত্র আমাদের দেখিয়েছে। আরো কিছু কাগজ পুলিশের কাছে চেয়েছি। আজকেই শেষ মিটিং।
‘সুপারিশগুলো গোপনীয়, আপনারা জানেন- সুপারিশ সব সময় গোপন থাকে। আমরা সরকারের কাছে সুপারিশ দেওয়ার পর তারা পর্যালোচনা করবে। সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।’
পরীক্ষা বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি ২০ লাখ শিক্ষার্থীর স্বার্থের কথা চিন্তা করেই সুপারিশ করবো, সরকারও স্বার্থের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
‘এই শিক্ষার্থীরা কারা, এরা তো আমাদেরই সন্তান, আমাদের দেশের সন্তান। আমরা এমন কোনো সুপারিশ করবো না যেটা তাদের জন্য ক্ষতি হবে। আর সরকারও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না যাতে তাদের জন্য কষ্ট হয়। সবারটাই দেখতে হবে।’
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সভা শেষে মো. আলমগীর বলেছিলেন, একটি বিষয়ের পুরোপুরি এবং কয়েকটি বিষয়ের আংশিক প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।
ওই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যেটা দেখেছি কোনো পরীক্ষায় ডিটেইলস ফাঁস হয়নি। গণমাধ্যমে যেটা এসেছে, আমরা দেখেছি কিছু কিছু অবজেকটিভ হয়েছে। এছাড়া আর হয়নি।
পরীক্ষা বাতিলের সম্ভাবনা আছে কিনা- এ বিষয়ে সচিব বলেন, এটা তো গোপন জিনিস। পরীক্ষা তো একটা না, ১২টা। অতএব ১২টির ১২ রকম সিদ্ধান্ত হতে পারে।
তবে তিনি বলেন, বাতিলের সুপারিশ করা হতে পারে, তবে কয়টার করা হবে তা এখন বলা যাবে না।
পরীক্ষার্থীদের উদ্বেগ থাকলো কিনা- এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, তাদের বলে দিই, তারা যেন কোনো উদ্বেগে না থাকে। তারা আমাদেরই সন্তান, তাদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমরা সুপারিশ করবো। উদ্বেগের কোনো কারণ নেই, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা জাতির স্বার্থে নেওয়া হবে।
‘ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাবেন, দুশ্চিন্তার কোন কারণ নাই। সরকার কিন্তু জনগণের সুখ-শান্তির জন্য, উদ্বেগর জন্য নয়। উদ্বিগ্ন রাখতে পারে অন্যরা।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাতিল হবে সেটাও বলবো না, হবে না সেটাও বলবো না।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও বিটিআরসি প্রতিনিধি, আট সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি কমিটি রয়েছেন।
আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করা হবে বলে জানান সচিব মো. আলমগীর। তথ্যসূত্র : বাংলানিউজ