: বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কোচিং সেন্টারের প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘটনায় জড়িত আইসিটি বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেনকে চাকরিচ্যুত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সেই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুত শিক্ষক বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। বৃহষ্পতিবার গভীররাতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন হাওলাদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তবে পুলিশ ওই শিক্ষককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, শিক্ষক বেল্লাল হোসেনের কোচিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত মডেল টেস্টের প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে স্কুলের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে তাকে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ করে। এছাড়া টিচার্স কাউন্সিলের জরুরি সভায়ও একই দাবি ওঠে। নিয়োগ বিধি মেনে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং বাগেরহাট মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলা তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন হাওলাদার বাদী হয়ে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪ ধারায় তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আমি মামলার তদন্ত শুরু করেছি। আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির অনুষ্ঠিত বার্ষিক পরীক্ষায় খণ্ডকালীন শিক্ষক বেল্লাল হোসেন পরিচালিত তার কোচিং সেন্টারের মডেল টেস্টের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শহর জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঘটনা তদন্তে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহকারী প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষক বেল্লাল হোসেনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে তাকে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ১৪ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের কাছে জমা দেয়া হয়। তিনি নিয়ম মেনে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।