চারণকবি বিজয় সরকারের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ‘এ পৃথিবী যেমন আছে, তেমনই ঠিক রবে, সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে; ‘পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনি গো আমি একদিন ভাবিনী মনে; ও তুমি জানো না জানোরে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা’-এসব বিখ্যাত মরমি গানের স্রষ্টা কবিয়াল বিজয় সরকার।

আজ ৩ ডিসেম্বর চারণকবি বিজয় সরকারের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর নড়াইলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী বিজয় সরকার মেলা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বিজয় মেলার তোরণ স্থাপন করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে নড়াইলের বিভিন্ন গ্রামে ১২টি মেঠোমঞ্চ স্থাপন করে সেখান থেকে প্রচার করা হচ্ছে বিজয় সরকারের গান। কবির ভক্তরা মেঠোমঞ্চে গান পরিবেশন করছেন। কবিগানের আসরের জন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও শহীদ মিনার চত্বরজুড়ে সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে।

আগামীকাল সোমবার দুই দিনব্যাপী বিজয় মেলা উদ্বোধন করবেন বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও নড়াইলের জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।

মেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শিল্পী বলদেব অধিকারীর চিত্র প্রদর্শনী, বিজয়গীতি প্রতিযোগিতা, স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, কবিগানের আসর, বিজয়গীতি পরিবেশনা, ধুয়োগান ও বিজয় স্বর্ণ পদক প্রদান।

এবারের বিজয় মেলা উপলক্ষে সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.পবিত্র সরকার। এ ছাড়া মেলায় ২০১৫-২০১৭- এই তিন বছরের তিনজন কবিকে বিজয় সরকার স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে।

এরা হলেন কবিয়াল সঞ্জয় মল্লিক (নওয়াপাড়া), কবিয়াল স্বপন সরকার (কোটালীপাড়া) এবং কবিয়াল মো. আবু ইউসুফ (চট্টগ্রাম)।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এবার কবিগানের জন্য আসছেন কবিয়াল বিজয় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চারজন কবিয়াল। মেলার শেষ দিন ৫ ডিসেম্বর রাতভর গানের আসর মাতাবেন তারা।

বিজয় সরকার মেলার আয়োজক ও বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক আকরাম শাহীদ চুন্নু বলেন, ‘কবিয়াল বিজয় সরকার বাংলার গর্ব। তাকে নিয়ে দুই বাংলায় কাজ শুরু হয়েছে। মরমি এই কবিয়ালের গান ও তার সঠিক চর্চার জন্য নড়াইলে একটি বিজয় চর্চাকেন্দ্র যেমন প্রয়োজন, তেমনি নতুন প্রজন্মের কাছে বিজয় সরকারের গানের মর্মবাণী ছড়িয়ে দিতে পাঠ্যপুস্তকে বিজয় সরকারকে অর্ন্তভুক্ত করা প্রয়োজন। ‘

চুন্নু আরো বলেন, ‘মরমি এই শিল্পীকে জাতীয় চারণ কবি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, নড়াইলে বিজয় সরকারের নামে ফকলোর ইনিস্টিটিউট, নিজ বাড়ি ডুমদি গ্রামে তার স্মৃতি সংগ্রহশালা, শিল্পীর বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা অবিলম্বে নির্মাণসহ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করা হোক তার গ্রাম- এটাই নড়াইলবাসীর প্রত্যাশা। ‘

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।