ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, একটি ইউনিক এফরোস নিয়ে আইসিটি বিভাগ কাজ করছে। সেটা হচ্ছে প্রশিক্ষণ এবং ইন্টার্নশিপ। এর মাধ্যমে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া। দেশের এবং বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে তারা যাতে আউটসোর্সিং করতে পারে সেজন্য তাদেরকে আমরা তৈরি করতে চাই। সে জন্য আমাদের কাজ চলছে। সারা বাংলাদেশে আমরা ২৮টি আইটি পার্ট নির্মাণের কাজ করছি এবং সেখানে আগামী ৩ বছরে ৩ লক্ষ জনকে ট্রেনিং দেব। যার মধ্যে দিয়ে ২০২১ সাল নাগাধ ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান আইটি সেক্টরে আমরা নিশ্চিত করবো। ইতোমধ্যে ৫ লক্ষ তরুণ-তরুণী ফ্রিলান্সিংয়ে কাজ করছে। আমাদের বেসিসের যে কোম্পানিগুলো আছে সেখানে আরো ৩ লক্ষ তরুণ-তরুণী কাজ করছে। প্রায় ১০ হাজার ই-কমার্স উদ্যোক্তা কাজ করছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আগামী ৬ থেকে ৯ ডিসেম্বর ডিজিটাল ওয়াল্ড ২০১৭’ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, আমাদের দেশে কর্মসংস্থান একটা বড় ইস্যু। ১৬ কোটি মানুষের দেশে প্রায় ৭০ ভাগ তরুণ। বিপুল পরিমান শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। আমি অনেক সময় দেখি, সবাই সরকারি চাকরি কিংবা বেসরকারি ব্যাংকে চাকরির জন্য ঘুরে। তারা শুধু চাকরির পেছনে ঘুরলে আমরা এ কোটি-কোটি তরুণের চাকরির ব্যবস্থা করতে পারবো না। আমরা চাই আমাদের তরুণরা শুধু চাকরি খুঁজবে না, চাকরি দেবে। তারা জব ক্রিয়েটর হবে।
তিনি বলেন, আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ২০০৮ সালে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৮ লাখেরও কম ছিল। মাত্র ৯ বছরের ব্যবধানে এখন ৮ কোটি ছাড়িয়েছে। মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৪ কোটি ছাড়িয়েছে। ব্রডব্যান্ড কানেকশন ইউনিয়ন পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছি। আমরা আইটিকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি। যে ২৬ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি নিয়ে আমরা ২০০৮ সালে শুরু করেছিলাম সেটা এখন বেড়ে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে বিলিয়ন ডলার অতিক্রম এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করা।