ডেস্ক: সেশনজট ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর সমস্যা। তা নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ একাডেমিক কর্মসূচি নেওয়ায় সেশনজট প্রায় দূর হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নানা অনিয়মের আবর্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ধ্বংসের প্রান্তসীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। বর্তমান প্রশাসন এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সে অবস্থা থেকে অনেকটা তুলে আনতে সক্ষম হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তিতে ‘রজতজয়ন্তী’ উৎসবের শেষ দিনের আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন শিক্ষামন্ত্রী। গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার সকালে এ অনুষ্ঠান হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষা এবং সময় উপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বমানের জ্ঞান, যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে সেটিই হওয়া উচিত আমাদের সবার অগ্রাধিকার।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকারের পাশাপাশি উন্নতমানের শিক্ষা নিশ্চিত করা দরকার। নয়তো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বহুলাংশে অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের সর্ব বৃহত্তম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রতিষ্ঠান। দেশজুড়ে বিস্তৃত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২ হাজার ২৪৯ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।
এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে কেক কেটে এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভাশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন সকালে শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভায়ও অংশ নিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, কাজী শহীদুল্লাহ ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ।