চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষে (২০১৭-১৮) ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে রাজধানীসহ সারা দেশের ২০টি কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের ক্ষেত্রে ৫ নম্বর কাটা হবে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৮২ হাজার ৭৮৮ শিক্ষার্থী। দেশে সরকারি ৩১টি মেডিকেল কলেজের মোট আসনসংখ্যা তিন হাজার ৩১৮টি।
আজ সকালে পরীক্ষা শুরু পর পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাবিতে কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সাংবাদিকরা বিষয়টি তাঁর দৃষ্টিতে আনেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য বছরের মতো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা গুজব। এতে আপনারা কান দেবেন না।’
‘যারা প্রশ্ন ফাঁস করে, তারা মেধাবীদের শত্রু। এ পরীক্ষায় যাঁরা মেধাবী, তাঁরাই উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হবেন।’
দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘যারা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের জন্য ৫ মার্ক কাটা হবে এবং নতুন সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আগামীতেও এভাবে চলতে থাকবে।’
‘ডিভাইস নিয়ে হলে’
পরীক্ষা চলাকালীন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে হলে ঢুকেছে এক শিক্ষার্থী। ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই পরীক্ষার্থীর নাম মাজহারুল ইসলাম। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।
সূত্র জানায়, মাজহারুল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর করছিল। প্রথমে বিষয়টি শিক্ষকরা বুঝতে পারেননি। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে ধরা পড়েন। তাঁকে নিউমার্কেট থানায় দেওয়া হবে বলে জানায় হল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। ওই শিক্ষার্থীকে থানায় দেওয়ার কথা রয়েছে। এখনো থানায় আনা হয়নি। এ ব্যাপারে পরীক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’