রাজশাহী সংবাদদাতা: তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের পর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আল-মামুন নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার হওয়া আল-মামুন (২৪) নাটোরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে পুঠিয়া উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের সমশের আলীর ছেলে।
এর আগে গত বুধবার নির্যাতিত ওই নারী নিজে বাদী হয়ে মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুঠিয়া থানার ওসি সায়েদুর রহমান জানান, স্বামী পরিত্যক্ত ওই নারী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ওই নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেখানে তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।
মামলার এজাহারে ২৩ বছর বয়সী ওই নারী বলেছেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর মামুন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি হন।
এরপর বিয়ের কথা বলে গত ১৫ মে মামুন তাকে রাজশাহী শহরে নিয়ে যান। কিন্তু কাজী না থাকার অজুহাতে তিনি তাকে বিয়ে না করে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
শুধু তাই নয়, গোপনে ওই ঘটনার ভিডিওচিত্রও ধারণ করা হয়। এরপর মামুন ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রাখার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
কিন্তু ওই নারী এতে রাজি না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৫ জুলাই মামুন ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুঠিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রলয় কুমার প্রামানিক জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে মামুন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে নাটোর থেকে গ্রেফতার করে আনা হয়। পরে দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালতে তার সাত দিনের রিমান্ডেরও আবেদন করা হয়। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।
আদালত মামুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।