নিজেস্ব প্রতিবেদক: ১১ মে নানা ভোগান্তির মধ্যদিয়ে সারাদেশে একাদশে ভর্তির জন্য প্রায় দুই লাখ আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনের সময় সার্ভার সমস্যা, ফিরতি এসএমএস না পাওয়া প্রধান সমস্যা ছিল বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। একাধিক আবেদনকারী অভিযোগ করে বলেন, সারাদিন একাধিকবার চেষ্টার পরও আবেদন করতে সক্ষম হননি।
সার্ভার সমস্যা, মোবাইলে এসএমএস পাঠালে ফিরতি উত্তর না পাঠানোসহ নানা ভোগান্তির পর কেউ কেউ সফল হচ্ছেন, আবার কারও আবেদন অসম্পূর্ণ রয়ে যাচ্ছে। ফলে অাবেদন অসম্পূর্ণ থাকায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আন্তঃজেলা শিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. আশফাকুস সালেহীন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, যেসব অভিযোগ আসছে আমরা ত্বরিৎ সমাধানের চেষ্টা করছি। এ কারণে আবেদনের সংখ্যা দুইদিনে দুই লাখ ছাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ভর্তিইচ্ছুদের আবেদনের মধ্যে নানা ভুল-ভ্রান্তি ধরা পড়ছে। তবে পরবর্তীতে তা পাঁচবার সংশোধন করার সুযোগ দেয়া হবে।
গত মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তি আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। আবেদনের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ মে। গত রোববার ২০১৭-১৮ সালের ভর্তি নীতিমালা জারির মাধ্যমে ভর্তির সময় নির্ধারণ করা হয়।
নীতিমালায় বলা হয়, সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য অনলাইনের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা এবং টেলিটকে ১২০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে।
অনলাইনের জন্য www.xiclassadmission.gov.bd ঠিকানায় এবং টেলিটক থেকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা ভর্তির এই নীতিমালায় আরও বলা হয়, একজন শিক্ষার্থী যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করবে, সেখান থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজ নির্ধারণ করে দেয়া হবে।
কলেজে ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ৫ জুন। এরপর আরও দুই দফায় আবেদন গ্রহণ করে নির্ধারিত সময়ে ভর্তির কাজ শেষ করা হবে। আর ১ জুলাই থেকে শুরু হবে ক্লাস।
কলেজ পরিদর্শক বলেন, পুনঃনিরীক্ষার ফলে যদি কারও ফল পরিবর্তন হয় আবেদনকারী তখন ইচ্ছা করলে পুনরায় কলেজ নির্বাচন পরিবর্তন করতে পারবে।
তিনি বলেন, একটি টেলিটক নম্বর দিয়ে একাধিক আবেদন করা যাবে, তবে যোগাযোগের নম্বর একাধিক আবেদনে ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া কলেজ নির্বাচন হলেও টাকা জমা না হলে সে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে পুনরায় তাকে আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৪ মে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ৮টি সাধারণ বোর্ড, একটি মাদ্রাসা ও একটি কারিগরি বোর্ডসহ মোট ১০ বোর্ডের অধীনে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন পাস করেছে। আর জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।