ঝালকাঠি: চলন্ত বাস থেকে চার ছাত্রকে ফেলে দিয়ে আহত করার প্রতিবাদে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় কলেজ ছাত্রদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে ৬ ছাত্র আহত হয়েছে।পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া – পাল্টা ধাওয়া হয়। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রাজাপুর ডিগ্রী কলেজের সামনে রাজাপুর-ভান্ডারিয়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে।আহত কলেজছাত্র নাঈম মাহমুদ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের চার ছাত্রকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় বাসের সুপারভাইজার ও হেলপার।এতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় চার ছাত্র। আর তার প্রতিবাদে বুধবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।লাঠিচার্জে কমপক্ষে ৬ ছাত্র আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর ১২টা থেকে আধাঘন্টা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে রাজাপুর ভান্ডারিয়া সড়কে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।পরে পুলিশের লাঠিচার্জে ছাত্ররা ছত্রভঙ্গ হলে সড়কে যানচলাচল শুরু হয়।এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার পরিদর্শক (ওসি, অপারেশন) শেখ মুনীর উল গিয়াস বলেন, ছাত্রদের ওপর লাঠি চার্জ করা হয়নি।সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
আন্দোলনরত ছাত্ররা আরও জানায়, ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া রুটের নূর-নোহা নামের একটি বাসে মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর ডিগ্রী কলেজের সামনে থেকে ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির চার ছাত্র গালুয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে ওঠে। পথিমধ্যে চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালে নারী যাত্রীরা প্রথমে এর প্রতিবাদ করে।কিন্তু এতে চালক ক্ষিপ্ত হয়ে বাসের গতি আরো বাড়িয়ে দেয়।পরে উপজেলার কৈবর্তখালী এলাকার একটি নির্মানাধীন কালভার্ডের কাছে থাকা গতি রোধকে গাড়ির গতি না কমিয়ে দ্রুত যাওয়ার সময় বাসের সাথে ধাক্কা লেগে গিয়াস ও মেজবাহ নামে দুই ছাত্রের মাথা ফেঁটে যায়।এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে কিছু দূর গিয়ে ওই চার ছাত্রকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে চালক ও হেলপার রাস্তায় ফেলে দেয়। এতে চারজনই আহত হয়।তাদের মধ্যে দুই জনকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।