নিজস্ব প্রতিবেদক : “বিশ্ব বন্ধনে সংগীত” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২ দিন ব্যাপি সংগীত উৎসব পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে এই সংগীত উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলা সংগীতের বিভিন্ন ধারার গান এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংগীত নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের আয়োজন।
এই সংগীত উৎসবের প্রথম দিনে বিভিন্ন গান পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন ভারত থেকে আগত উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী শ্রী রাধা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ফ্রান্স এবং চীন থেকে আগত বিভিন্ন শিল্পীগণ।
সংগীত উৎসবেরর প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, গান মানুষকে ঐকবদ্ধ করে। সুরের বন্ধন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখে। এখানে জাতপাতের কোনো গন্ধ নেই।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের শিশুদের জন্য, সন্তানদের জন্য অনেক উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের পিছনে বই এর বড় বোঝা চাঁপিয়ে দেয়া হচ্ছে। তারা শুধু বই এর দিকে ঝুকে যাচ্ছে। তাদেরকে গান শোনানো হচ্ছে না, গাছ দেখানো হচ্ছেনা, ফুল দেখানো হচ্ছেনা। বাংলাদেশে এখন পরীক্ষার্থী আছে, শিক্ষার্থী নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সংগীত বাংলাদেশের শক্তি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা বিভিন্ন বিদ্রোহী গান, নজরুল সংগীতসহ বিভিন্ন সংগীতের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করেছে। সংগীতের প্রয়োজন আমাদের জীবনে সব ক্ষেত্রে রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের সংগীতে অনবদ্যঅবদান রাখার জন্য ১২ জন গুণীজনকে সম্মাননা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ। উত্তরীয় পরিয়ে এবং ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদানের সহায়তা দেওয়া হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যআ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।
সম্মানপ্রাপ্তরা হলেন-খুরশিদ আলম, আব্দুল জাব্বার, সুজেয় শ্যাম, লাকি আখন্দ, পাপিয়া সরোয়ার, শাম্মি আকতার, খালিদ হোসেন, ফজলে খোদা, সাঈদুর রহমান বয়াতী, অমরেশ রায় চৌধুরী, কুটি মনসুর, আব্দুল গফুর হালিম।
সংগীত উৎসবের প্রথম দিন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. লীনা তাপসী খান।
সংগীত উৎসব এর দ্বিতীয় দিনেও (২৫ জানুয়ারি) বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শিল্পীগণ গান পরিবেশন করবেন।