[ads2]ডেস্ক,১সেপ্টেম্বর:
৯/৩/১৪ পরবর্তী টাইমস্কেল এবং বেতন ১০ম গ্রেড করাসহ বিভিন্ন জটিলতার দ্রুত নিরসন চান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। এসব সমস্যা সমাধানে এবং দাবি আদায়ে নিজেদের কর্মপরিকল্পনাও ঠিক করেছেন শিক্ষকরা। শিগগিরই দাবি মানা না হলে আন্দোলনের পরিকল্পনা করছেন তারা বলে জানিয়েছেন।
শিক্ষকদের সূত্র জানিয়েছে, সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করতে বসেন রাজধানীর নবাবগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বসেন সারা দেশের প্রায় হাজারো প্রধান শিক্ষক। মিটিংয়ে টাইমস্কেল সমস্যার সমাধান, বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি, চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পদ স্থায়ীকরণ, বিদ্যালয়ের সময় সূচিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের নিয়মিতকরণ, বেতনস্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নতিকরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগসহ আবেদন করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক স্বরুপ দাস বলেন‘টাইমস্কেলের ব্যাপারটি মন্ত্রনালয়ের অনুদনের অপেক্ষায়।।এটি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
১০ম গ্রেডের বিষয়ে সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ঘোষণা দিলেও ৫/৬ বছর ধরে এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শিক্ষাবান্ধব সচিব জনাব আকরাম আল হাসান আমাদের জন্য সব সময় পজিটিভ। ১০ গ্রেড ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়ন শাখায়। আমরা দ্রুত দশমগ্রেড ও টাইমস্কেল পেতে যাচ্ছি। পাশাপাশি সিলেকশগ্রেড পেতে যাচ্ছি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে জাতীয় বেতন স্কেলে দশম গ্রেড দেয়ার নির্দেশ দেনন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গেজেটেড পদমর্যাদা দেয়াারও নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সভায় কমিটির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন,বিদ্যালয়ের সময়সুচি কমানোর জন্য প্রধান শিক্ষক সমিতি ইতিমধ্যে আবেদন দিয়েছে। দ্রুত সেটা বাস্তবায়ন হবে।
পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার গেন্ডারিয়ার মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৫ মার্চ রুল জারি করেন আদালত। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেন এবং একই দিনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এ রায়ের ফলে প্রাথমিকের ৬৫ হাজার ৫৯ জন প্রধান শিক্ষকের ভাগ্য ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৯ জন প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে এবং ৫০ হাজারের কাছাকাছি পদের প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ধরনের প্রধান শিক্ষকদের জন্য ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে এ আদেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষকদের এসব দাবি এখনো পূরণ হয়নি। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করার তাগিদ শিক্ষকদের। অন্যথায় আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সভায় কমিটির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন,বিদ্যালয়ের সময়সুচি কমানোর জন্য প্রধান শিক্ষক সমিতি ইতিমধ্যে আবেদন দিয়েছে। দ্রুত সেটা বাস্তবায়ন হবে।
আরও বক্তব্য সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রঞ্জিত ভট্রাচার্য,এসএম সাইদুল্লাহ, সিনিয়ার সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সবিনয় দেওয়ান, মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু,দেলনুর হোসেন, জিয়াউর রহমান, অরুন দাস, শালিক আহমেদ, দিলিপ মন্ডল, মেহেরপুরের মোঃ তালিম,দিদারুল আলম,ওমর ফারুক,জাহাঙ্গীর আবেদ, সাখাওয়াত হোসেন, অর্থ সম্পাদক নুরেআলম, রিংকু মিত্র,কুতুব উদ্দিন, আব্দুল মোমিন,ফরিদপুরের সিরাজ,
সাংগাঠনিক সম্পাদক খায়রুল ইসলাম,জেলা সাংগাঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম।