এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

নিজস্ব প্রতিবেদক,১৬ ফেব্রুয়ারী : এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং জেলা ও উপজেলাভিত্তিক এমপিও দালালদের একাধিক চক্র গড়ে উঠছিল। এই চক্রকে ঘুষ না দিলে এমপিওভুক্ত হওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। এইসব চক্র তছনছ করে এমপিওভুক্তিতে ঘুষ দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধ করতে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এমপিওভুক্তি বিকেন্দ্রীকরণ ও অনলাইনে প্রক্রিয়াকরণ শুরু করে সরকার। কিন্তু সুফল মেলেনি। ঘুষের হার ও স্তর বেড়েছে।

সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার দুটি প্রতিবেদনে এমপিওভুক্তিতে কীভাবে দুর্নীতি হয়, কারা জড়িত, কারা ঘুষ দেয়, কারা ঘুষ দিয়েও স্বীকার করে না এসব তথ্য উঠে আসে। ঘুষ-দুর্নীতিরোধে কিছু মন্তব্য ও সুপারিশ করা হয়েছে সংস্থাটির প্রতিবেদন দুটিতে।

শুরুতেই ময়মনসিংহের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক আব্দুল খালেক;

টাঙ্গাইলের জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম ও একই অফিসের অফিস সহকারি আবদুল আজিজের কাহিনী।

কাগজ-পত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও হয়রানীর উদ্দেশ্যে বারবার বিভিন্ন অজুহাতে ভুল ধরার চেষ্টা করা। জেলা শিক্ষা অফিস ও উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে ধাপে ধাপে পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করেও এমপিওভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়।

এমপিওভুক্তিতে অনিয়ম-দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে এবং এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়াতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার চিতেশ্বরী এলাকার বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের গণিত শিক্ষক সোহেল রানা গোয়েন্দা সংস্থাকে তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।