দেশের ৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ‘সিমুলেশন ল্যাব’ চালু হয়েছে; যেগুলোতে কৃত্রিম মানবদেহ ব্যবহার করে ব্যবহারিক পাঠ নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই সিমুলেশন ল্যাব উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরো পড়ুন: ঢাবির আরেক পদ থেকে অধ্যাপক ইমতিয়াজকে অব্যাহতি
পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ- ফরিদপুর, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ল্যাব উদ্বোধন করা হয়।
প্রতিটি ল্যাবে ভার্চুয়াল ব্যবচ্ছেদ টেবিল ও বেসিক মেডিকেল সায়েন্স, বেসিক অ্যান্ড অ্যাডভান্স লাইফ সাপোর্ট, আই অ্যান্ড ইএনটি, গাইনি-অবস অ্যান্ড পেডিয়াট্রিকস ও সার্জিক্যাল ট্রেনিং রুম রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এটি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শেখানোর আধুনিক পদ্ধতি। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা জীবন্ত মানবদেহের পরিবর্তে কৃত্রিম মানবদেহ ব্যবহার করে সমাধান করতে শিখে থাকেন।
কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের অধ্যাপক নাজমা বেগম বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহারিক ক্লাস খুবই জরুরি। কিন্তু সব সময় তারা সে সুযোগ পায় না।
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, একটা বাচ্চার শ্বাস বন্ধ হয়ে হাসপাতালে গেলে কীভাবে তার সিপিআর করতে হয় তা কিন্তু স্টুডেন্টদের সবসময় দেখানো সম্ভব হয় না। কারণ নানা জায়গায় ক্লাস থাকার কারণে এসব সমস্যা নিয়ে কোনো বাচ্চা আসলেও অনেক শিক্ষার্থী দেখার সুযোগ পান না।
“আবার সুস্থ বাচ্চা দিয়েও তাদের বোঝানো সম্ভব না। এজন্য এই সিমুলেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আমরা দেখাতে পারব- কীভাবে কাজগুলো করতে হয়। এটা না পেলে শুধু তাত্ত্বিকভাবে শিক্ষার্থীদের শেখাতে হত।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, এখন দেশের ৮টি মেডিকেল কলেজ এ ল্যাব চালু হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য মানবদেহ প্রয়োজন হবে না। পর্যায়ক্রমে সবগুলো মেডিকেল কলেজে এটা চালু করা হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধীনে সিমুলেশন ল্যাবগুলো স্থাপন করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা।