ডেস্ক,২৩ এপ্রিল : দেশের ৪৬ লাখ নারী-পুরুষ সত্যিকারের বেকার হয়েও রয়েছে বেকারের তালিকার বাইরে। তবে তাদের বেকার ধরা হয় না বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে। কিন্তু এই ৪৬ লাখ শ্রমশক্তিকে কর্মক্ষম হিসেবে ধরছে বিবিএস।
১৫ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো ব্যক্তি যদি এক ঘণ্টার জন্য কাজ না করে থাকে এবং এক মাসে কাজ খুঁজে থাকে কিন্তু কাজ না পেয়ে থাকে, তাকে বেকার হিসেবে গণ্য করা হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বিদ্যমান সংজ্ঞায় এমন কথাই উল্লেখ রয়েছে। সংস্থাটি থেকে আরও জানা যায়, ১৫ বছরের তদূর্ধ্ব কোনো ব্যক্তি এক সপ্তাহে এক ঘণ্টার জন্য হলেও মজুরির বিনিময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিলে তাকে কর্মক্ষম ধরা হয়।
বিবিএসের সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, এই হিসাবে দেশে এখন বেকারের সংখ্যা মাত্র ২৬ লাখ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। আইএলওর সংজ্ঞা ব্যবহার করে জরিপ করে থাকে বিবিএস। আগামী ৩০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
বিবিএসের শিল্প ও শ্রম উইংয়ের যুগ্ম পরিচালক কবির উদ্দিন আহমেদ জানান, এ জরিপে এক সপ্তাহে এক ঘণ্টা কেউ কাজ করলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হয়নি। বলা হয়েছে, ১৫ বছরে ওপরে যারা গত এক সপ্তাহে এক ঘণ্টাও কাজ করেনি এমন বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ।
কিন্তু যারা কাজ করতে চায় বা এক মাসের মধ্যে কাজের খোঁজ করেছিল; কিন্তু পায়নি এ রকম মানুষের সংখ্যা ২৮ লাখ। সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার চেয়ে কম কাজ করে এ রকম খণ্ডকালীন কাজে আছে ১৮ লাখ। আর বেকার আছে ২৬ লাখ। সব মিলিয়ে ধরা হলে বেকার সংখ্যা দাঁড়ায় ৭২ লাখে।