কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা অনুমতি ছাড়াই বিদেশে স্বামীর সঙ্গে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। ওই শিক্ষকের নাম মাহফুজা খাতুন। তিনি উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিযোগের বিষয়টি শিক্ষা অফিসে মৌখিকভাবে একাধিকবার বলা হলেও কোনো কাজ হয়নি।
অপরদিকে কর্তৃপক্ষ বলছেন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: রাসেলস ভাইপার কামড়ালে করণীয়
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন ২০১৯ সাল থেকে তার স্বামী-সন্তান নিয়ে মরক্কোতে অবস্থান করছেন। তিনি ২০১৯ সালের ১৫ জুন থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র মতে, মাহফুজা খাতুনের স্বামী আব্দুল আজিজ সরকারি চাকরির সুবাদে মরক্কোতে কর্মরত আছেন।
স্বামীর সঙ্গে শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই রয়েছেন।
দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুস সামাদ প্রামাণিক ও বর্তমান সভাপতি খয়বর আলী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক পাঁচ বছর যাবৎ অনুপস্থিত। তার স্বামী সরকারি চাকরির কারণে মরক্কোতে কর্মরত থাকায় ওই শিক্ষিকা স্বামীর সঙ্গে সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অসংখ্যবার বলার পরেও কোনো কাজ হয়নি।
পদ ধরে রাখার জন্য অন্য কোনো শিক্ষকও এই বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসতে পারছেন না। শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, সহকারী শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন ২০১৯ সালে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন। এরপর একই বছর বিদেশ গমনের জন্য ৪৫ দিনের ছুটি নেন। সেই থেকে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।
তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তবে সে বেতন পাচ্ছে কি না এবং তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না আমি অফিশিয়ালভাবে জানি না।
এ বিষয়ে দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনের সঙ্গে তার ম্যাসেঞ্জারে একাধিকবার ম্যাসেজ দিলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, সহকারী শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনের অনুপস্থিতির দিন থেকে বেতন বন্ধ আছে এবং তাকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।