৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল এ মাসেই প্রকাশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২১ হাজার ৫৬ জন। এদের মধ্যে ১৩ হাজার প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের ১৫ হাজার খাতায় ২০ নম্বরের গড়মিল পাওয়ায় ফল প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হয়। গড়মিল হওয়া খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন শেষে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
ওই সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার আগে ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হলেও চূড়ান্ত ফল তৈরির কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। ঈদের ছুটি শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল তৈরির কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের ফল আগামী সপ্তাহে!
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, ৪১তম বিসিএসের ফল কোন সময় প্রকাশ করা হবে সেটি নির্দিষ্টভাবে বলা মুশকিল। কেননা ফল তৈরির পর কোনো সমস্যা হলে ফল প্রকাশে বিলম্ব হবে। সেজন্য নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে। আশা করছি চলতি মাসেই এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারবো।
৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষাতে প্রভাষক ৯০৫ জন, কারিগরি শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক ১০ জন নেওয়া হবে।
শিক্ষার পরে বেশি নিয়োগ হবে প্রশাসন ক্যাডারে। প্রশাসনে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পুলিশে ১০০, বিসিএস স্বাস্থ্যতে সহকারী সার্জন ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০ জনকে নেওয়া হবে।
পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাব রক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক ৮ জন নেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ৩ জন নেওয়া হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন।
সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল পদে ২ জন, বিসিএস মৎস্যতে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬ জন, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪ জন, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্যনিয়ন্ত্রক ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) ১৫ জনসহ মোট ২ হাজার ১৩৫ জন কর্মকর্তাকে এই বিসিএসে নিয়োগ করা হবে।