৩৫তম বিসিএসের কোটা পূরণ ৩৬ থেকে

সচিবালয় প্রতিবেদক,২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ :

৩৫তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় পূরণ না হওয়া ৩৩৮টি পদ ৩৬তম বিসিএসের মেধাতালিকা থেকে পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ৩৬তম বিসিএসে প্রাধিকার কোটার ৭৩৭টি পদে পদ সংরক্ষণের বিধান শিথিল এবং ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পাননি) ৮০২টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এসংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি  বলেন, ‘ ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় পূরণ না হওয়া সংরক্ষিত পদগুলো ৩৬তম বিসিএসের সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের শূন্য পদের সঙ্গে যোগ করে তা পূরণ হবে।’

এছাড়া প্রাধিকার কোটায় পূরণ না হওয়া পদ সংরক্ষণের বিধান ৩৬তম বিসিএসে শিথিল করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে বলে জানান শফিউল আলম।

পিএসসি বলেছে, ৩৬তম বিসিএসে ২ হাজার ১৮০টি শূন্য পদের মধ্যে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের জন্য ১ হাজার ৬৩৮টি পদ আছে। এসব পদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪৯১টি, ১০ শতাংশ মহিলা কোটায় ১৬৪টি, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় ৮২টি পদ নিয়ে মোট ৭৩৭টি পদের বেশিরভাগই খালি থাকবে এবং তা সংরক্ষণ করতে হবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩৬তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পদ সংরক্ষণ সংক্রান্ত শর্ত শিথিল করলে ওইসব পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে উল্লেখ করে পিএসসিএ বিষয়ে সরকারের অনুমোদন চায়।

শফিউল আলম জানান, ৩৬তম বিসিএসের জন্য প্রাধিকার কোটার পদ সংরক্ষণের বিধান শিথিল করায় ওই বিসিএসের মেধাতালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে ওইসব পদ পূরণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা যা ছিল তাই আছে, শুধু কোটা শিথিলের সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা, সংবিধানেও কোটার বিধান আছে।’

অন্যদিকে ৩৫তম বিসিএসে কৃতকার্য হয়েও যারা ক্যাডার পাননি তাদের মধ্য থেকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট পদে ৩০২ জন এবং ধাত্রী পদে ৬০০ জনকে নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে ৫ হাজার ৫১৭ জন উত্তীর্ণ হলেও এদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পেয়েছেন ২ হাজার ১৫৮ জন। অন্যরা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করলে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, ‘সভায় বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (সংশোধন) আইন-২০১৭, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আইন-২০১৬, প্রাণি কল্যাণ আইন-২০১৬, শিশু (সংশোধন) আইন-২০১৭-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে।’

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।