ডেস্ক
তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অফিস রুমে ডেকে চুমু দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছার নামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা ১১টার এই ঘটনায় স্কুল এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ইছার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাঙ্কুনিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, এ ঘটনায় প্রথমে ওই ছাত্রী তার এক বোনকে বিষয়টি বলে। বোন শিশুর বাবা মোস্তফা হাওলাদারকে খবর দেয়। স্কুলে পৌঁছে শিশুর কাছ থেকে সব শুনে বিষয়টি নিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ এনামুল হককে বলেন। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষককে ডেকে তিনি জিজ্ঞেস করলে পা ধরে ক্ষমা চান। এমনকি শিশুর বাবা শ্রমজীবী মোস্তফা হাওলাদারের পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চান প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইছা।
মোস্তফা হাওলাদার বলেন, ‘তারাও (শিক্ষকরা) মোগো সন্তানের বাপের মতো। ও (মেয়ে) দুই দিন স্কুলে যায়নি। একারণে রুমে একা ডাইক্কা মুখে চুমা দেয়’। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছাকে বারবার মোবাইল করলে তিনি এসব অস্বীকার করে বলেন, তাকে ওখান থেকে অন্যত্র বদলি করার জন্য এটি ষড়যন্ত্র। তবে কারা ষড়যন্ত্র করছে তা বলেননি। আর পা ধরে মাপ চাওয়ার কথাও অস্বীকার করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল বাশার জানান, তিনি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ দাশ জানান, শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে জরুরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলবেন। মাত্র মাসখানেক আগে যৌন হয়রানির অভিযোগে কলাপাড়ার একজন প্রধান শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পরে ফের এমন ন্যক্কারজনক অভিযোগ ওঠায় অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন।