এসএসসির ফলে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস।
এ বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২৭৮ পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে শতভাগ পাসের পাশাপাশি ২৭০ জন জিপিএ ফাইভ পায়।
জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট পরীক্ষার্থীর ৯৭ দশমিক ১২ শতাংশ।
অনলাইনে এসএসসির ফল ঘোষণার পর শুক্রবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমন হোসেন।
প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লা ও নাছিমা মোল্লা।
২০১৫, ২০১৭ ও ২০২২ সালে শতভাগ পাসসহ শতভাগ জিপিএ ফাইভ পেয়ে দেশসেরা ফল ছিল প্রতিষ্ঠানটির।
স্কুলের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতে টানা শতভাগ পাসসহ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রায় প্রতি বছরই বোর্ডে সেরা স্থান দখল করে আসছে।
এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৬৯ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে সবাই পাস করে।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২০২২ সালে ২৬৬ শিক্ষার্থীর শতভাগ পাসসহ শতভাগ জিপিএ ফাইভ ছিল। এর আগে ২০২১ সালে ২৪৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৩৭ শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল।
২০২০ সালেও এ প্রতিষ্ঠানের ২১৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২০০ জন জিপিএ ফাইভ পায়। ২০১৭ সাল থেকে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শতভাগ পাসের হার ছিল প্রতিষ্ঠানটির।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ফাইভ পাওয়া শাহরিয়ার নাফিজ সৃজন বলে, ‘মহামারি করোনার জন্য আমাদেরকে সবাই অটোপাস বলে অপবাদ দিত। আশা করছি এইবার আমাদের দেশসেরা ফলাফলে সেই অপবাদ মুছে যাবে।
‘এই ফলাফলের জন্য আমাদের বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক দিকনির্দেশনা, নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, গাইড টিচারের মাধ্যমে নিয়মিত হোম ভিজিট, টিউটেরিয়াল ও মাসিক পরীক্ষার কারণেই এই ভালো ফলাফল সম্ভব হয়েছে।’
নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, ‘নরসিংদীর মতো মফস্বল শহরে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়েই আমি ও আমার সহধর্মিণী নাসিমা বেগম স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম।
‘আমি সবসময় চেয়েছি সুশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানবসম্পদে পরিণত হোক। সমাজে যেন আর সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত বেকার তৈরি না হয়।’
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমন হোসেন বলেন, ‘এ বছরের শিক্ষার্থীরা যেহেতু করোনা মহামারির সময়ে পড়াশোনা থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল, তাই তাদের নিয়ে আমাদের শিক্ষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।’
থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা ও তার স্ত্রী নাসিমা বেগমের নামে ২০০৮ সালে নরসিংদী শহরের ভেলানগর এলাকায় নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস প্রতিষ্ঠা করা হয়।
স্কুলটিতে ১৪৫ জন শিক্ষক রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ হাজার ১৫৫ জন।