ডেস্ক,২৪ এপ্রিল ২০২৩: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন নিযুক্ত হওয়ায় প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। আজ সোমবার ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা আলাদা আলাদা অভিনন্দন বার্তায় এই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
আরো পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমের ৮ম-৯ম শ্রেণির বই লেখার কাজ শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
এক অভিনন্দন বার্তায় ডুয়েট উপাচার্য বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, দুদকের সাবেক কমিশনার জনাব মো. সাহাবুদ্দিন একজন বহুমাত্রিক প্রভিভার অধিকারী সজ্জন ব্যক্তি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শ ও দর্শনে বিশ্বাসী একজন মানুষ। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর হত্যাকাণ্ডের পর তিনবছর কারাবরণ করেছেন। জেল থেকে বের হয়ে তিনি পড়াশোনা শেষ করে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে বিসিএস জুডিসিয়াল সার্ভিসে যুক্ত হন। কর্মজীবনে তিনি সততা, দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমন একজন সুযোগ্য ব্যক্তি দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় আমরা আনন্দে উদ্বেলিত। আমাদের প্রত্যাশা, একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, নবনিযুক্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে পথ প্রদর্শক ও প্রেরণার উৎস হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন বলে আমি কৃতজ্ঞচিত্তে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। এছাড়াও তিনি নবনিযুক্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন-এর দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন।
আরেক অভিনন্দন বার্তায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিনকে একজন নিবেদিতপ্রাণ, অকুতোভয় ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, তার যোগ্য অভিভাবকত্বে দেশে চলমান সার্বিক উন্নয়নের ধারা নতুন মাত্রা পাবে। বহির্বিশ্বে মাতৃভূমির ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। উপাচার্য রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সার্বিক কল্যাণ কামনা করেন।
এক অভিনন্দন বার্তায় লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বলেন, দীর্ঘ কর্মময় ও রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে এবং বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অনবদ্য প্রত্যয়ে নতুন রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনায় আগামীতে বাংলাদেশ আরও সফলতা অর্জন করবে।