ঝালকাঠি সরকারী বালক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, ১৯৫২ সালে বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার ঘোষণা দেয় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তখনই বাংলার দামাল ছেলেরা তার প্রতিবাদ করে রাজপথে নেমেছিলেন। শহীদ হয়েছে রফিক, শফিক, বরকত, জব্বারসহ আরো অনেকে।
এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের শোষণ-নীপিড়নের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তা থেকে মুক্তি পায়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষায় স্বীকৃতি লাভ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন। ইংরেজি ও বাংলা ভাষার মিশ্রণ মাতৃভাষার সাথে বেয়াদবী। শুদ্ধ বাংলা ভাষা ব্যবহারের চর্চা করা হলে মাতৃভাষার মর্যাদা সমুন্নত থাকবে।
সকাল ১১ টায় বিদ্যালয় মাঠের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি। জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক সরদার মোঃ শাহ আলম, পুলিশ সুপার মোঃ জোবায়েদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সুলতান হোসেন খান, রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান।
শিক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সুশিক্ষিত ও সমৃদ্ধ করতে যা যা প্রয়োজন তা সবই করছেন। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করার ফলে এখন এর বই কেনার ভয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়তে হয় না।
পরে প্রেসক্লাবের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সুবর্ণ জয়ন্তি উৎসব পালন অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। দুপুর ১ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ঝালকাঠি প্রেসক্লাব স্বাধীনতার ৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাই স্বাধীনতাযুদ্ধের স্বাক্ষ্য বহন করে। দলীয় গন্ডির মধ্যে গণমাধ্যমকে থাকা ঠিক নয়। রাষ্ট্র, দেশ, দেশের স্বাধীনতা ও জাতির স্বার্থে সংবাদপত্রকে কাজ করতে হবে। প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে আরো বলিয়ান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ, বাস্তবায়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে গঠনমূলক সংবাদ প্রচার করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, কোন বিদেশী শক্তি এ দেশে মাদক বিস্তারের চেষ্টা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এর বিরুদ্ধে সদা সচেষ্ট আছে।
জনসাধারণকে সচেতন করতে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে। মাদক দেশ ও জাতির শত্রু। অভিভাবকদেরও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। কারণ প্রথমে ধ্বংস হয় পরিবার, তারপরে সমাজ সর্বশেষ রাষ্ট্র বা দেশ। তাই সকলকেই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে।
সুবর্ণ জয়ন্তি উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি। অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদ প্রশাসক সরদার মোঃ শাহ আলম, পুলিশ সুপার মোঃ জোবায়েদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সুলতান হোসেন খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল, জেলা বনিক সমিতির সভাপতি মাহবুব হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি ও উৎসব উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আককাস সিকদার।
উল্লেখ্য, সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীদ্বয়।