ডেস্ক,২৪ফেব্রুয়ারীঃ
দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হবে। আর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা হবে দুই বছর মেয়াদি। ফলে শিশুরা চার বছরে স্কুলে ভর্তি হবে। এর আগে আগামী বছর থেকে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের একটি স্কুলে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক চালু হবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ক্লাসরুম উপযোগী করে তুলতে সারাদেশে নতুন করে আরো ৩০ হাজার ‘শিশু উপযোগী শ্রেণিকক্ষ’ নির্মাণ করা হবে। প্রাক-প্রাথমিকের জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শিশুদের বয়স উপযোগী কারিকুলামও প্রণয়ন করা হবে।
২০১০ সাল থেকে সীমিত আকারে এবং ২০১৩ সাল থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। কিন্তু সরকারিভাবে বাংলাদেশে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক ক্লাস চালু না থাকায় বেসরকারি উদ্যোগে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রসার ঘটছে। এশিয়ার মধ্যে জাপান, কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর ও ভারতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর মেয়াদি, যা সে দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
প্রাক-প্রাথমিক এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর করার জন্য নীতিগত অনুমোদন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সারসংক্ষেপে প্রাক-প্রাথমিক দুই বছরের করার যৌক্তিকতা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪ হাজার ৭৯৯টি বিদ্যালয়ে শুধু প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য নির্ধারিত শ্রেণিকক্ষ আছে এবং ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক জন করে সহকারী শিক্ষক (প্রাক-প্রাথমিক) কর্মরত আছেন। এছাড়া, আরো ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এক জন করে সহকারী শিক্ষকের (প্রাক-প্রাথমিক) পদ সৃজন করা হয়েছে এবং শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি প্রতিটি বিদ্যালয়ে চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের কাজ চলমান।
তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকায় চার বছরের বেশি বয়সি শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩৩ লাখ ৮ হাজার ১৫৪ জন। নতুন ক্লাস চালু হলে এ শিশুরা সেখানে ভর্তি হবে। ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ২৪১ জন শিশু প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।